সাক্ষী থেকে আসামি মিন্নি, অতঃপর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:২৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:১০

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
রায় শুনতে বুধবার সকালে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে আসেন মিন্নি

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডটি দেশ-বিদেশে তখন ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা খুব কমই ঘটে। যখন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছিল তখন তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও সঙ্গে ছিলেন। স্বামীকে রক্ষার জন্য বাহ্যত চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাকে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে মিন্নির প্রশংসাও করেন অনেকেই।

এ ঘটনায় ২৭ জুন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ একটি হত্যা মামলা করলে সেখানে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হয়।

কিন্তু মামলার তদন্তে নেমে এক পর্যায়ে হত্যাকারী নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পর্কের প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হয়ে যান মিন্নি। মামলাটিও মোড় নেয় অন্যদিকে।

শেষ পর্যন্ত সেই মামলায় মিন্নিকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। যদিও উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানিয়েছেন, তারা সুবিচার পাননি, উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/জেবি)