‘রিফাত ভাই ভালোবাসার মেয়েটাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়নি’

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনার সঙ্গে রিফাতের স্ত্রী মিন্নির সম্পৃক্ততারও প্রমাণ মিলেছে।

হত্যার ঘটনার পর মিন্নিকে মামলার অন্যতম সাক্ষী করা হলেও পরবর্তী সময়ে তাকে মামলায় আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পরপর নিহত রিফাতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বায়েজিদ সামাজিক যোগাযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসের বাস্তবতা অনেকটা প্রমাণিত হয়েছে মামলার রায়ে। এজন্য তার সেই স্ট্যাটাসটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বায়েজিদ লিখেন, ‘রিফাত শরীফের হত্যার ভিডিওটাতে দেশবাসী যা দেখছে সেটাতে রিফাত ভাইয়ের বউ মিন্নি নির্দোষ। কিন্তু ভেতরের খবরটা সবারই অজানা! এই মিন্নি গত ঘটনার দিন সকাল ১০টায় রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারি কলেজে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুনি নয়নের সঙ্গে নিজের স্বামীকে হত্যা করে।’

বায়েজিদ আরও লিখেন, ‘প্রথমে কলেজের ভেতরে বসে রিফাত শরীফকে নয়ন, রিফাত ফরাজি, রিশাদ ফরাজি ও অন্যান্য সহযোগীরা লাঠি ও চটপটি ভ্যানের লম্বা চামচ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তখন মিন্নি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল। মারামারির এক পর্যায় মারতে মারতে রিফাত শরীফকে কলেজ গেটের সামনে নিয়ে যায় এবং চলন্ত রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর যে নাটকটা করেছে সেটার কারণে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাবলিসিটি পেয়ে যায়। কিন্তু পাবলিসিটি দেয়া মানুষগুলো জানে না এই মিন্নি খুনি নয়নের সাথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’

বায়েজিদ লিখেছেন, ‘আপনারা খেয়াল করেছেন চাপাতি দিয়ে রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নিকে একটা আঘাতও করেনি সন্ত্রাসীরা! কারণ নয়নের সঙ্গে মিন্নি পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। দুজনে এক সাথে ইয়াবা সেবন করত। বলে রাখা ভালো নয়ন বরগুনা জেলার মাদক সিন্ডিকেটর মূল নায়ক। যার নামে বরগুনা সদর থানায় কমপক্ষে ২০টা মামলা আছে। কলেজের ভেতরে মারামারি হওয়া আগ মুহূর্তে রিফাত শরীফ মিন্নিকে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে চাইলে মিন্নি বিভিন্ন বাহানায় রিফাতকে আটকে রেখেছিল। রিফাত ভাই যদি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করত তাহলে হয়তো বেঁচে যেত। হায়রে ভালোবাসার মেয়েটাকে ভাই ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দা, চাপাতির যন্ত্রণা সহ্য করেছে। শেষে রক্তাক্ত রিফাত ঘাড় হতে গলা পর্যন্ত গুরুতর জখম নিয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালে যায় এবং মিন্নি বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যায়।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এসএস/জেবি)