বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেল ১৫টি বাড়ি

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩৯

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নওগাঁর আত্রাইয়ে নাগর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫টি বাড়ি পানির শ্রোতে ভেসে গেছে। এদিকে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর সঙ্গে সঙ্গে বিলাঞ্চলের পানিও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

জানা গেছে, উজানের পানি নেমে আসায় আহসানগঞ্জ, সমসপাড়া, কাশিয়াবাড়ি, চকশিমলা, বুড়িগঞ্জ হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের চকশিমলা, বড়শিমলা, সন্যাসবাড়িসহ ১৪টি গ্রামের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। কালিকাপুর  ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দমদমা, ঘোষপাড়া, আমপুর, দাঁড়িয়াগাথী, সিংসাড়া, থাঐপাড়া, পাঁচুপুর ইউনিয়নের বাঁকিওলমা, কাঁন্দওলমা, গোপালবাটি, মধ্যবোয়ালিয়া, জয়নাথপুর, মধুগুড়নই, পাঁচুপুরসহ ৮ ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সাধনগর গ্রামে নাগর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১৫টি বসতবাড়ি ভেসে গেছে। একই রাতে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ওই গ্রামের শতশত পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০০ কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে কাশিয়াবাড়ি স্লুইসগেটের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আত্রাই-পতিসর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

এ বিষয়ে হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর সরদার জানান, এবারের বন্যায় উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে তার ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং ত্রাণ তৎপরতা সচল রাখতে সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে বন্যাকবলিত মানুষদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম। উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বন্যার্ত কোন মানুষ যেন অনাহারে বা অর্ধাহারে না থাকে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বন্যার্তদের সর্বাত্নক সহযোগিতা করছি। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করা হবে। সেইসাথে স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/পিএল)