উত্তর প্রদেশে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর মৃত্যু

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:১১ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের উত্তর প্রদেশে ফের গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক দলিত তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এ রাজ্যে দলিত আরেক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে সৃষ্ট বিক্ষোভের মধ্যেই ফের এমন ঘটনা ঘটলো।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল রাজ্যটির হাথরাসে আর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ৫০০ কিলোমিটার দূরের বলরামপুরে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলরামপুরে ২২ বছর একজন দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের পর গুরুতর আহত অবস্থায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে লখনউয়ের হাসপাতালে নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, দলিত এই তরুণী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও ফিরে না আসায় এবং মোবাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।

কাজে যাওয়ার পথেই তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার মা। পরে অনেক রাতে রিকশায় মেয়েকে বাড়ি ফিরতে দেখেন তারা।

কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, অপহরণকারীরাই তাকে একটি ইলেকট্রিক রিকশায় করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

ওই লোকেরা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তার শরীরে কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছিল, এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন তারা তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তার পা ভেঙে দেয়, পিঠ ভেঙে দেয়। একজন রিকশাওয়ালা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমার মেয়ে তখন দাঁড়াতেও পারছে না, কথাও বলতে পারছে না।

এরপর দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন, কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তরুণীর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু পা ও পিঠ ভাঙা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে তার হাতে একটি গ্লুকোজ সিরিঞ্জ ঝুলে ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা দেব রাজন ভার্মা।  পুলিশ স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করার পর বুধবার তারা সেটি সৎকার করেছে বলে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/০১ অক্টোবর/কেআর)