শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সর্ব ইউরোপিয়ান আ.লীগের সভা

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২০, ০১:১২

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে `শেখ হাসিনা: মুক্তির বহ্নিশিখা' শীর্ষক সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠান সোমবার বিকাল ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

সঞ্চালনায় তাকে সহযোগিতা করেন সুইডেন আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েতউল ইসলাম শেলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি।

সম্মানিত আলোচক ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মণি, তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।

এই ভার্চুয়াল সভায় ইউরোপের সব দেশের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন- এমএ কাশেম, জাহাঙ্গীর করির, মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী, বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু, খোকন শরীফ, এসআরআই রবিন, খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, মান্নান মাতব্বর, শাহাদাত হোসেন তপন, জহিরুল ইসলাম জসিম, বেলাল হোসেন, মশিয়ার রহমান, ডা. ফরহাদ আলী খান, হাসান ইকবাল, দিলওয়ার হোসেন কয়েস, মাইনুল ইসলাম, রিজভী আলম, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান ভূইয়া, মোস্তফা জামান, মুরাদ খান, আব্বাস আলী চৌধুরী, বাবুল হাওলাদার, মাহবুবুর রহমান, ইকবাল আহমেদ লিটন, বিদ্যুৎ কার্ল, মোস্তাফিজুর রহমান, শওকত ওসমান, রাজিব দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ’৮১-এর সম্মেলনে আমরা সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দলের ঐক্য ধরে রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর দলের নেতৃত্বভার অর্পণ করে তার হাতেই তুলে দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগের রক্তেভেজা সংগ্রামী পতাকা। মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ ৩৯ বছর নিষ্ঠা, সততা ও সাহসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে অত্যাচার-অবিচার, জেল-জুলুম সহ্য করে গণরায়ে অভিষিক্ত করে চারবার সরকারে অধিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। অকুতোভয় শেখ হাসিনার বড় বৈশিষ্ট্য হল তিনি আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতোই অসীম সাহসী, চিত্ত তার ভয়শূন্য!'

তিনি বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। সেই কাজটি দক্ষতা, নিষ্ঠা, সততা ও সাহসের সঙ্গে সম্পন্ন করে শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন তার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ হবে মর্যাদাপূর্ণ, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।'

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, 'যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু যে উন্নয়ন কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সে কার্যক্রমের পূর্ণতা দিয়েছেন। জাতির পিতা সমুদ্র আইন করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, কন্যা সমুদ্র বিজয় করেছেন, বঙ্গবন্ধু স্থলসীমা আইন করে গিয়েছিলেন, তারই কন্যা সফলভাবে ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু পদ্মাসেতুর স্বপ্ন দেখেছিলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।'

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন একটি সংগ্রামীজীবনের উপাখ্যান। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে কখনো বিচলিত হননি, কখনো দ্বিধান্বিত হননি বরং আরো প্রত্যয়ী হয়ে, আরো দীপ্ত হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি অতুলনীয় গুণ হচ্ছে সমস্ত সংকটের মধ্যেও তিনি অবিচল থেকে সংকট মোকাবিলা করতে পারেন আর সে কারণেই তিনি অনন্য।'

ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হতে বেশি দিন লাগবে না।'

সভাপতির বক্তব্যে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, 'রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকাসমুন্নত রেখেছেন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। পারিবারিক সূত্রে তার দীক্ষা কল্যাণমন্ত্রে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে লড়াইরত জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে প্রবাসে আমরা আমাদের ঐক্য আরো সুদৃঢ় করব এটাই চিরায়ত কল্যাণী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয়, আমাদের অঙ্গীকার।'

অনুষ্ঠানটির কারিগরি সহযোগিতায় ছিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই.)।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন ও এগিয়ে চলা বাংলাদেশের দু'টি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন নিয়ে তথ্য চিত্রটি করেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটি। এগিয়ে চলা বাংলাদেশের তথ্যচিত্রটি করেছেন, সুইডেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান ভূইয়া। এই তথ্যচিত্র দু'টি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :