সবজির বাজারে ভিড়তে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৪:০৫ | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২৮

কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতির কারণে সবজির বাজার এখন উর্ধ্বমুখী। ফলে সবজি খাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খেটে খাওয়া পরিবারগুলো। একদিকে করোনার প্রভাবে কর্মহীন, অন্যদিকে বন্যায় সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি সব মিলিয়ে কাঁচা বাজারে লাগামহীন মূল্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষদের জনজীবন এখন বিপর্যস্ত অবস্থা।

বন্যা শুরুর পর থেকেই জেলায় সবজির বাজারে মূল্য বাড়তে শুরু করে। কিন্তু গেল দু’সপ্তাহ ধরে সবজির দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি দুই-চার গুণ দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সবচেয়ে বেশি দামে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-২০০ টাকা কেজি। এছাড়াও বেগুন ৪০ টাকা, আলু ৩৫-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা, ছোট করলা ১২০ টাকা, বড় করলা ৬০-৭০টাকা, মুলা-লাল শাক ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খেটে খাওয়া পরিবারগুলো ঠিকভাবে সবজি কিনতে না পেরে বাধ্য হয়ে ভর্তা, ডিম এগুলো খেয়ে দিনাপাতিত করছে।

ক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে জেলায় সবজির আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় লোকসানে চাষিরা। জেলায় চাহিদা মত সবজি না থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানী করতে হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচা সবজি পচনশীল। তাই একদিন বিক্রি না হলে লোকসান গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে করে আমদানী খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ছে। ফলে অনেকেই ঊর্ধ্বগতির বাজারে কেনা কাটা করতে পারছেনা।

কৃষক ওখুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টি আর বন্যার পর যেটুকু ফসল রক্ষা হয়েছে সেগুলোরও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষীরা। বাজার এমন উর্ধ্বমুখী হলেও মাঠের কৃষকরা সুবিধা পাচ্ছেন না। শুধু মাত্র লাভবান হচ্ছেন পাইকার আর আড়ৎদাররা।

নাগেশ^রী উপজেলার কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, এবারের বন্যায় কচাকাটা ইউনিয়নের ৯৫ ভাগ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাইরে থেকে সবজি আমদানী করে আনছে ব্যবসায়ীরা। সেগুলোর দাম চড়া হওয়ায় সর্বস্থরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রান্তিক চাষিদের সরকারের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় কুড়িগ্রামে ১৭ হাজার হেক্টর বিভিন্ন ফসলি জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষক। সরকারিভাবে কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি টাকা।

(ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :