জাপানে বিনামূল্যে দেয়া হবে করোনার টিকা
প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২৭
জাপানী নাগরিকদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এ জন্য জাপান সরকারকে বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে ৬৭১.৪ বিলিয়ন জাপানী ইয়েন বা প্রায় ছয় হাজার ৪০০ কোটি (৬.৪ বিলিয়ন) ডলার।
করোনার প্রভাব পড়েছে জাপানের উপর। মৃত্যুর হার কম হলেও আক্রান্তের হার কিন্তু কম নয়। প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার এ দেশটিতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৪ হাজার ২১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৫৭৮ জন। এছাড়া ৭৭ হাজার ২১৯ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় করনা ভাইরাস এর টিকা আবিষ্কার অনেকটাই দৃশ্যমান। আর এই টিকা পেতে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন লবিং। বিশ্বব্যাপী জোর প্রচেষ্টা চলছে কার আগে কে পাবে টিকা। জাপানও সেই রেসে থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুগা গত ১৬ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনেই জানান দিয়েছিলেন তিনি জাপান এবং জাপানী জনগণের কল্যাণে যা যা করার তা করতে তিনি পিছপা হবেন না।
এর মধ্যেই ২ অক্টোবর ‘২০ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্যানেল অনুমোদন অনুযায়ী জাপানে বসবাসরত সকলকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুগা প্রশাসন। এই জন্য জাপান সরকারকে বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে ৬৭১.৪ বিলিয়ন ইয়েন। আগামী বছরের শুরুতেই জাপানে এই টিকা ব্যবহার শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গত মার্চ মাসে বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা শিগেরু অমি কে প্রধান করে একটি উপদেষ্টা গঠন করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জাপানে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তার সুফলও পেতে থাকেন। আবে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
সংক্রমণ রোধে দেশের সকল নাগরিককেই প্রথম ডোজ বাধ্যতামূলক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও নীতিমালায় বিদেশি নাগরিকদের জন্য আলাদাভাবে কিছু বলা হয়নি। তবু আশা করা যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্ত্যবিমার আওতায় সকলেই এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
বার্তা সংস্থা কিয়োদো সূত্রে জানা যায়, সফলভাবে ভ্যাকসিন নির্মাণের পর বৃটিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি এবং মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল ফাইজার ইনকর্পোরেশন প্রত্যেকে ১২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করবে জাপানের জন্য। তা ছাড়া মর্ডানার কাছ থেকেও ৪০ মিলিয়ন ডোজ বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে জাপান।
ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/ইএস