নিজ ঘরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ, গুরুতর জখম দেবর

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৮

নেত্রকোনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পাশেই গুরুতর জখম নিয়ে কাতরাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূর দেবর।

রবিবার ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে একটি রক্তমাখা ছুরি (কাগজ কাটার এন্টিকাটার) পাওয়া যায়।

নিহত গৃহবধূর নাম লিপি আক্তার (৩৫)। তিনি একই গ্রামের বিজিবি সদস্য আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আহত রাসেল একই বাড়ির আলাল উদ্দিনের ছেলে ও লিপির চাচাতো দেবর।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত লিপি আক্তারের স্বামী আজিজুল হক পঞ্চগড়ে বিজিবির সদস্য হিসেবে কর্মরত। আলিফ নামে তাদের ১২ বছরের এক ছেলে রয়েছে।  ঘটনার দিন শনিবার রাতে লিপি আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও একই ঘরের অন্যপাশে লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরে গোঙানির শব্দ শুনে তারা জেগে দেখেন ঘরের মেঝেতে লিপি ও রাসেল গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে দুজনকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে আজিজুল প্রায় ১৫ বছর আগে বিজিবিতে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও ৩-৪ বছর ধরে লিপির সঙ্গে রাসেলের পরকীয়ার সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল।

জালাল উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহ আগেও তার ছেলে আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এসে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে দেনদরবার করে কর্মস্থলে ফিরে যান। কী কারণে ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, পরকীয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তদন্তের পরই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/কেআর/জেবি)