আবাসন ভাড়া নিয়ে বিপাকে শাবি শিক্ষার্থীরা

শাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২৩ | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২১

মেস ও ছাত্রী হলের আওতাধীন হোস্টেল ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিপাকে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গণমাধ্যমে পাঠানো ৩০৪ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে পুরো পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের দেশেও তৈরি হয় মৃত্যুভয় এবং সেইসঙ্গে বাঁচার ও নিরাপত্তার তাগিদ। তারই ধারাবাহিকতায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু বন্ধ হয়নি শিক্ষার্থীদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলার নানামুখী চাপ। মেস ও হোস্টেল ভাড়া সমস্যাটি এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল এবং প্রকট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শেষ আশ্রয়স্থল মেসগুলো। এর মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মেসভাড়া বহন করে থাকে টিউশনির অর্থ দিয়ে। আর কিছু শিক্ষার্থীর যোগান আসে পরিবারের শ্রমের টাকা থেকে।

গত মার্চ মাস থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের যেমন টিউশন বন্ধ রয়েছে তেমনি ব্যাহত হয়েছে পরিবারের অর্থনীতির চাকা।

কিন্তু এর ভেতরেও থেমে ছিল না মেসভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা যার কোনো সমাধান এখনও হয়নি। অনেকেরই এই অনিশ্চিত সময়েও নিশ্চিতভাবে দিতে হয়েছে মেসভাড়ার টাকা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জমে যাওয়া বকেয়া পরিপূর্ণভাবে পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে মেস থেকে বের করে দেয়া, মেসে পরিকল্পিত চুরির ঘটনা ঘটানোসহ অনেক শিক্ষার্থী চরমভাবে মেস-মালিকদের হয়রানির শিকার হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেসভাড়া সমস্যার ব্যাপারে সন্তোষজনক সমাধান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা সমাধান কোনোটিই হয়নি। এমনকি উপাচার্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতকারে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোর আওতাধীন হোস্টেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সামাদ হাউজ, ফজল কমপেক্স, আমির কমপেক্স ও ছাড়ানীড়। এসব হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পক্ষেও গত ছয়মাসের ভাড়া পরিশোধ করা একপ্রকার অসম্ভব।

এছাড়া ছাত্রীহলের আওতাধীন হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের গত ছয়মাসের ভাড়ার অন্তত ৬০% মওকুফ করে বাকি ৪০% ভাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব মিলিয়ে আমাদের এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে খুব শিগগিরই একটা কার্যকর সমাধান খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অবশ্যই দ্রুত একটা প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে বলে আশা করেন শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :