যবিপ্রবির হলে চুরি বাড়ছে

যবিপ্রবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ২০:৫৩

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একমাত্র ছাত্র হল শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে কম্পিউটার চুরির তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই একাধিক চুরির অভিযোগ উঠেছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর রুম থেকে কম্পিউটার চুরি হয়। চুরির বিষয়ে তদন্ত করতে সহকারী প্রভোস্ট ড. সুজন চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মেলেনি চোরের কোনো তথ্য।

এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগেই উঠেছে বেশ কয়েকটি নতুন চুরির অভিযোগ। এদিকে হলের শিক্ষার্থীরা না ফেরা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা সম্ভব হছে না মোট চুরি যাওয়া জিনিসের পরিমান কেমন। অন্যদিকে চুরির বিষয়ে দায় নিতে অস্বীকার করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে প্রত্যেকটি চুরি একইভাবে করা হয়েছে। চোর পেছনের বেলকুনি দিয়ে পেছনের দরজা খুলে চুরি করেছে এবং ভিতর থেকে সামনের দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। রহস্যজনক বিষয় হলো যে কয়েকটি রুমে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রত্যেকটিতে চোর বেছে বেছে কিছু জিনিস নিয়ে গেছে।

দ্বিতীয় তলার কিছু রুম থেকে প্লাস্টিকের রেক চুরি করেছে। কিন্তু অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক পণ্য নেয়নি। ৩২৪ নম্বর রুমের স্ট্যান্ড ফ্যান চুরি করেছে। কিন্তু অন্য কিছু নেয়নি। এছাড়াও ৪১৩ নম্বর রুমে একটি ছোট আলমারির তালা ভেঙে কিছু জিনিসপত্র, জামাকাপড় ও নতুন একটি গিটার চুরি হয়েছে।

এই বিষয়ে ৪১৩ নম্বর রুমের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান বলেন, হলের শুধু আমার রুম নয়, একাধিক রুমে চুরি হয়েছে। এটিকে চুরি নয়, ডাকাতি বলে। যতগুলো জিনিস নেয়া হয়েছে সেগুলো নেয়ার জন্য নিশ্চই কোনো বড় ট্রাক নিয়ে এসেছিল ডাকাতদল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, প্রশাসন কিছুই নাকি জানে না এবং দায়ভার শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

চুরির বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. নাজমুল হাসান বলেন, চুরির ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির চুরি রোধে আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছে। আমরা এইগুলো বাস্তবায়ন করছি।

প্রভোস্ট বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা হলের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছি। হলের পেছনে সার্চ লাইট লাগিয়েছি এবং প্রতিটা তলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে হলে চুরি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় সকল বাবস্থা আমরা নিয়েছি।

যেহেতু হল বন্ধ ঘোষণার সময় নোটিসের মাধ্যমে আমরা সব শিক্ষার্থীকে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যেতে বলেছি সেক্ষেত্রে এই দায়ভার হল প্রশাসনের না। তারা তাদের মূল্যবান জিনিসগুলো আমাদের না জানিয়েই রুমে রেখে গেছে, এটা তাদেরই ভুল।

প্রভোস্টের ভাষ্য, যেসব শিক্ষার্থীরা চুরির অভিযোগ করেছে তাদের আবেদন ও তালিকা আমাদের কাছে আছে। যদি কোনো সুযোগ থাকে তাহলে তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টা বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও করোনাকালে যবিপ্রবির ছাত্র হলে ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি যাতে ভবিষ্যতে এই রকম ঘটনা না ঘটে। এছাড়াও যেখানে করনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে গেলে বিভিন্ন ফর্মালিটিস মেনে প্রবেশ করতে হয় এবং হলের নিচ তলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত ২৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওয়াতাভুক্ত, সেখানে এই ধরনের ঘটনা একান্তই কাম্য নয়।

ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের নির্বিকারতা ও নিরাপত্তা প্রদানে অপারগতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলছে আলোচনা সমালোচনাসহ বিরূপ মন্তব্য। চুরির ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন

বুয়েটে রাজনীতি: হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা

মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য হলেন আতিকুর রহমান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ উপাচার্যের

বরিশালে ভিবিডির 'হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ ও সচেতনতা' বিষয়ক ক্যাম্পেইন

সনদ জালিয়াতি: কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে অব্যাহতি

প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেবে কুবি

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ

সনদ বাণিজ্য: ওএসডি হচ্ছেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :