নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে রানার্সআপ অ্যামেচার রেডিও টিম

আসাদুজ্জামান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২০, ১৪:১৮ | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০২০, ১১:২০

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রতিবছর স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আয়োজন করে। গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। এই প্রতিযোগিতা এবার ভার্চুয়াল ইভেন্টে চলছে।

বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ১৭ টি দল নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রানার্সআপ হয়েছে অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের টিম `টিম এস২১এআরএসবি’। তাদের প্রজেক্ট ছিল `হ্যাম এসওএস কম’। দলটি নাসার কনফ্রন্ট ক্যাটাগরিতে `এ ফ্লাড অব আইডিয়াস‘ নিয়ে অংশ নেয়। এখন এই টিম নাসার বিশ্বব্যাপী আয়োজিত মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।

বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এবং নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতার টিম `টিম এস২১এআরএসবি`র সদস্য অনুপ কুমার ভৌমিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রতি বছর পৃথিবীতে নানা দূযোর্গ আঘাত হানে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। দুর্যোগের আগাম খবর জানাটা কঠিন। দুর্যোগের সময় টেলিফোন, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ইন্টারনেটসহ সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন আমাদের উদ্ভাবিত অ্যাপ কাজে দেবে। ইন্টারনেট ছাড়াই অ্যাপটি এফএম রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে নাসার স্যাটেলাইট থেকে দুর্যোগের আগাম খবর, সর্বশেষ খবর বিনা পয়সায় সরবরাহ করবে। এতে বিপুল সংখ্যক জানমাল ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।`

অনুপ কুমার ভৌমিক আশাবাদী তাদের দলটি এবারের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হবে।

উল্লেখ্য, ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ এ ‘বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘টিম অলিক’। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে দলটি আমেরিকার ভিসা না পাওয়ায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনি।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন। এবার এটি ভার্চুয়ালি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বিজয়ী হওয়ার জন্য টানা ছয় বছর ধরে বেসিস কাজ করছে। এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের আটটি শহর থেকে ৩৫০টি দল আবেদন করেছিল। এরমধ্যে থেকে ৬০ টি দল চার মিনিটের ভিডিও জমা দেয়। ২৪ জনের একটি বিচারক প্যানেল তাদের মধ্যে থেকে ৯টি শহরে ১৭ টি দলকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণা করে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, এই ১৭টি দলকে আগামী তিন-চার দিন মেন্টরিং করা হবে। তারা ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও তৈরি করে নাসার ওয়েবসাইটে আপলোড করবে। বাংলাদেশের দলগুলো পৃথিবীর ২৭০ টি শহরের প্রতিযোগিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। সেখান থেকে ১৭টি দলকে নাসা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করবে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলগুলো আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের জন এফ কেনেডি স্পেস সেন্টার ঘুরে দেখার সুযোগ পাবে। সেখানে আয়োজিত জমকালো এক অনুষ্ঠান থেকে সনদ সংগ্রহ করবে। এই সময়ে ওই সেন্টার থেকে মহাকাশে রকেট উ’ক্ষেপণ চাক্ষুষ দেখতে পাবেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারিভাবে তাদের আইডিয়া বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। রয়েছে নাসা ও অন্যান্য খ্যাতনামা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরির সুযোগও। বিজয়ীরা দেশের জন্যও সম্মান বয়ে আনে।

(ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :