ফরিদপুরে কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের প্রতিবাদ
ফরিদপুরের সদরপুরে আকোটেরচর মৌজায় কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পিয়াজখালী বাজারের নিকটে বেপারীডাঙ্গি গ্রামে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ওই গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
তারা জানান, অসংখ্যবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তারা এ গ্রামে থিতু হয়েছেন। তাদের গ্রামটি কৃষি প্রধান। এখানে ধান, পাট, রসুন ও পেঁয়াজসহ নানা ফসলের ভাল ফলন হয়। সম্প্রতি এই জমি বিনষ্ট করে একটি ইটভাটা স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন এক মহল।
সুলতান খাঁ নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধ কৃষক জানান, এই ভাটা হলে পদ্মা নদী এগিয়ে আসবে। এতে তাদের ফসলি জমিরই শুধু ক্ষতি হবে না। বরং পরিবেশের ওপরেও বিরুপ প্রভাব পড়বে।
রাবেয়া বেগম নামে এক নারী জানান, ইতোপূর্বে তাদের গ্রামে বালু দস্যুদের কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিরুপ প্রভাব পড়েছিল। তখন গ্রামবাসীর বাঁধার কারণে প্রশাসন বেকু মেশিন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এখন তারা বালু লুট করতে না পেরে সেখানে নতুন করে ভাটা স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে আকোটেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার কৃষি জমিতে ইটাভাটা হলে সেখানের প্রায় ৩ শতাধিক কৃষি পরিবার ক্ষতিগ্রসস্ত হবে। ওই জমিতে নানা ধরণের ফসল হয়। আমরা চাইনা সেখানে কৃষি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা স্থাপন করা হোক।’
তবে এ বিষয়ে ইটভাটা স্থাপনকারী এখলাস ফকির দাবি করেন, তিনি কোন কৃষি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা করছেন না। গ্রামবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি জানান, নদীর মাটির বাইরে কোন ফসলি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার করবেন না।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ হতে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/পিএল)