শামীম আজাদের কবিতা

শামীম আজাদ
| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪১ | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৪

ঐ যে ঐ ক্রমশ বর্ধিত মিছিলটা কি চায়?

কিসের পারমিট ও লাইসেন্স?

কাহার আশীর্বাদ?

কে নেবে তাদের ধর্ষণের দায়?

জানি না

তবে জানি আমি কবি

আমিই দিচ্ছি আমার ঘৃণা,

অভিশাপ, অভিসম্পাত।

তীব্র অভিশাপ দেয়া ছাড়া

তিরস্কার করার মতো কোনো শব্দ

ভাষা কিংবা বাণী,

আমার আয়ত্তে নেই

কারণ, মানুষের জন্যই মানুষের ভাষা

মানুষের মতো সমিল চেহারার জন্য নয়।

এরা হানুদ ও হায়মান

এরা বিধাতার এ সুন্দর ধরাধামের অসুন্দর অধম

বিষ, কয়লা, কূটা ও কুলাঙ্গার।

আমার মর্মমূল থেকে এই মহাপাপীদের জন্য

সকল কবিকুলের পক্ষে থেকে আমি দিচ্ছি আমাদের চূড়ান্ত অভিশাপ।

এই প্রতিটি কুলাঙ্গার

তার নিজ ধর্মের ধর্ষক।

এরা নিজ কন্যা ও পুত্রের,

স্ত্রী কিংবা ভগিনীর, ভ্রাতা ও তার গোত্রের,

তার বর্ণ ও শৈশব সাথীর,

তাকে যে এ ধরায় এনেছিল সেই ধাত্রীর

এমনকি জন্মদাত্রীরও মর্যাদাহারক।

এরা প্রত্যেকে সম্মান হরণ করেছে

তাদের সুনসান শৈশবের স্কুল ও সরল সদাচারী শিক্ষকের।

একদিন যে বকুল বনে বেড়ে উঠে যুবক হয়েছিল সে

তার সব কাদায় কর্দমাক্ত করেছে

ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে সেই মায়াবী মহল্লা ও তার প্রতিটি গৃহস্তম্ভ

এমনকি যে পশুটির দুগ্ধ পান করেছে অপমান করেছে তারও।

সে বা তাহারা তাদের কৃতকর্মে

জন্মদাত্রী মা ও সম্মানিত পিতার

এক নতুন নামকরণ করেছে।

তারা চিহ্নিত হয়েছেন

ধর্ষকদের মাতা-পিতা হিসেবে।

যতদিন বেঁচে থাকবেন,

কেউ আর তাদের

নাম ধরে ডাকবে না

এ পৃথিবী তাদের জন্য গ্লানিময় হয়ে গেছে।

এই ধর্ষকরা ভূ-ভজনালয়ের বিচিত্র এক জীব

এদের সঙ্গে সংযোগ করে কোনো মূর্খ

এদেরই কারণে আজ বিধাতার গড়া

মানবকুণ্ড হতেছে চূর্ণ-বিচূর্ণ।।

নিরাকপরা আসমান

.

লেখক: শামীম আজাদ (লন্ডন থেকে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :