দিনাজপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, দুজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ২২:০৩

দিনাজপুরের বিরলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে দুদিন ধর্ষণ করেছে বলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাদের সহায়তা করেছে, এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষক লিটন (৩০) ও ধর্ষণের সহায়তাকারী নারী সানুকে (২৪) গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে বিরল থানায় একটি মামলা করেছেন।

বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের বলেন, বিরল উপজেলার ১০ নম্বর রানীপুকুর ইউনিয়নের জগৎপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের কিশোরী মেয়েকে ৩ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির পাশের পাকা রাস্তা থেকে প্রতিবেশি স্বামী পরিত্যক্তা নারী সানুর সহায়তায় লিটন (৩০) ও মোস্তাফা নামে দুই যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

কাঞ্চনঘাট এলাকায় পিকনিক স্পট ‘জীবন মহল’-এ একটি কক্ষে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে লিটন ও মোস্তফা। এ সময় ধর্ষণে সহায়তা করে সানু। পরে সেখান থেকে শহরে এসে বাসে করে ওই কিশোরীকে তারা ঢাকায় নিয়ে যায়। পরদিন ৪ অক্টোবর সকালে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি হোটেলের কক্ষে ওই কিশোরীকে আবারও লিটন ও মোস্তফা কয়েকবার ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণে সহায়তা করে সানু।

কিশোরীর অবস্থা খারাপ হলে ওই দিন রাতেই আবারও বাসে করে দিনাজপুরে নিজ বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয় সানু। বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি ওই কিশোরী তার বাবা-মাকে বলে দেয়।

পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আযমের সহায়তায় ৫ অক্টোবর বিকালে মামলা করেন ধর্ষিত কিশোরীর বাবা। পুলিশ রাতেই ধর্ষক লিটন ও ধর্ষণে সহায়তাকারী সানুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তবে পালিয়ে যায় আরেক ধর্ষক মোস্তফা। লিটন ও সানুকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের প্রথম স্থান পিকনিক স্পট 'জীবন মহল'-এ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতির সমাগম। করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই। যে যার মতো করছে বেহায়াপনা।

এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত জীবন মহলের স্বত্তাধিকারী জাতীয় পার্টির নেতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ওরফে জীবন চৌধুরীর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। ফোনে তিনি বলেন, তার জীবন মহলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনজন সাংবাদিক তার জীবন মহলে গিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে চাঁদা (টাকা) দাবি করেছে। তিনি ওই সাংবাদিকদের বেঁধে পেটানোর জন্য মুঠোফোনে তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিলে ওই সাংবাদিকরা পালিয়ে যান।

আনোয়ার বলেন, বিরল থানার ওসির সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ওসি কিছুই জানেন না। যে সাংবাদিকরা তার জীবন মহলে গিয়েছিলেন, তাদের চাকরি খেয়ে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তিনজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে গিয়ে স্পট দেখেন। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে এসেছেন। পালিয়ে আসার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

(ঢাকাটাইমস/৬অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :