হচ্ছে না এইচএসসি পরীক্ষা

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২৮ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের ফল মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বুধবার দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এ বছর এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। এবারের পরীক্ষা হবে কিনা তা জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হলে দ্বিগুণ কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য এটি করা কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থার জন্যও বিষয়টি কঠিন। বিষয় কমিয়ে বা সিলেবাস কমিয়েও হয়ত পরীক্ষা নেয়া যায়। কিন্তু সেটা করলেও কিছু সমস্যা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরীক্ষার সময়ে কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে সে তো কেন্দ্রে আসতে পারবে না। আসা উচিতও নয়। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ কী করছে সেটিও আমরা দেখছিলাম।

দীপু মনি বলেন, ভারত, আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশে মাঝপথে পরীক্ষা বাতিল বা  স্থগিত করে। আমাদের কাছে পরীক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিবেচনায় আমরা এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের কোনটি ভালো হবে সেটি দেখতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করেই এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অনুযায়ী সরাসরি পরীক্ষা না নিয়ে একটু ভিন্নভাবে মূল্যায়নের চিন্তা করেছি। দেখুন এই শিক্ষার্থীরা এর আগে কিন্তু দুটি পাবলিক পরীক্ষা (জেএসসি ও এসএসসি) অতিক্রম করে এসেছে। তাদের জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এইচএসসিতে এসে যে সকল শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসিতে এসে যারা বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটি গঠন করেছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/টিএটি/কারই/কেআর/এমআর