মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে ‘জায়গা দখল’

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৩৮

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে চাদঁ আলী নামে এক ব্যাক্তির জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জন্তিপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া নামে মাদ্রাসাটি করার জন্য ৬ শতক জায়গা দান করে ওই গ্রামের ওসমান আলী। সেই জায়গাতে মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্রের সংখ্যা বেশি হওয়াতে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামের কবরস্থানে মাদ্রাসাটি স্থানান্তর করা হয়। পরে গত ২০১২ সালে মাদ্রাসার কমিটির রেজুলেশনমূলে পুরাতন জায়গাটি জমিদাতা ওসমান আলীর ছেলে চাদঁ আলীর কাছেই বিক্রি করা হয়।

কিন্ত শমসের হোসেন, আমজাদ আলী, জামাল, বাবলু, রশিদ, হাফিজুর ও মতিন হোসেন নামে গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী মাদ্রাসা কমিটিতে স্থান না পেয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চাদঁ আলীর জায়গা দখল করে। পরে জায়গাটি মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তারা।

চাঁদ আলী বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার বাবা প্রথমে ৬ শতক জায়গা দান করেন মাদ্রাসা করার জন্য। পরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মাদ্রাসা গ্রামের কবরস্থানে করায় এই ৬ শতক জায়গা গ্রাম ও কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে আমার কাছেই বিক্রি করেন। কিন্তু তারা পূর্ব বিরোধের জেরে আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল করছে।’

ওই মাদ্রাসার সভাপতি মজিবর রহমান জানান, গ্রামের কিছু দুস্কৃতিকারীরা মাদ্রাসার কমিটিতে স্থান না পাওয়ার কারণে তারা চাদঁ আলীর জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। কারণ, পূর্বের মাদ্রাসার ৬ শতক জায়গা চাদঁ আলীর বাবার দানকৃত ছিল। সেই জায়গা থেকে মাদ্রাসাটি কবরস্থানে স্থানান্তর করার সময়ে টাকার প্রয়োজনে সেই ৬ শতক জায়গা বাজারমূল্যে চাঁদ আলীর কাছে বিক্রি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে শমসের হোসেন, আমজাদ আলী, জামাল ও বাবলু গং বলেন, ‘জায়গা ওসমান গনি দান করেছেন সত্য। পরবর্তীতে মাদ্রাসা স্থানান্তর করার সময়ে আমাদের জানিয়ে চাদঁ আলীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। সেই রেজুলেশনে আমাদের কারো স্বাক্ষর নেই।’

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল করিম জানান, জন্তিপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তির দলিলাদি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/পিএল)