কুড়িগ্রামে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শতশত ঘরবাড়ি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪৬

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি কমে পঞ্চম দফা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। নদীভাঙনের তীব্রতায় বিভিন্ন এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষগুলো শতশত ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

একদিকে কয়েক দফা বন্যার ক্ষতি তার উপর নদী ভাঙন যেন মরার উপর খারার ঘায়ের মতো। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে এবারের বন্যায় কৃষকরা। অনেক কৃষক ধার দেনা করে বন্যা শেষ হলে দ্বিতীয় দফা আমন আবাদ করে। কিন্তু সেগুলো চতুর্থ ও পঞ্চম দফা বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় কষ্ট আরো বেড়ে গেছে তাদের। ফলে কিভাবে তারা পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে এখন তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ৬৩টি পয়েন্টে নদনদীর পানি কমার ফলে প্রচন্ড নদীভাঙন চলছে। তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতের তোড়ে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ও বজরা ইউনিয়নের গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ এলাকার কুড়িগ্রাম অংশে প্রবল নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ৪০০-৫০০ মিটারজুড়ে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। ফলে সেখানে গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েক শতাধিক ঘর বাড়ি, ফসলী জমি ও স্থাপনা।

অন্যদিকে সদর উপজেলার ভোগডাঙার পাটেশ্বরীতে ও হলোখানার চর সুভারকুটিতে তীব্র নদীভাঙন চলছে। সেখানেও প্রায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিদিন নদী ভাঙনে বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দিরসহ ফসলী জমি চলে যাচ্ছে। নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জে ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় দুধকুমর নদীর ভাঙনে অনেকের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পানি আরো কমলে প্রায়োরিটি বেজে ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙন এলাকায় ম্যাসিভ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হবে। উলিপুরের কাশেমবাজার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং এর কাজ করা হচ্ছে। তবে তাও সেটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেখানে জিও টিউব দিয়ে রক্ষা করতে পাইলট প্রোগ্রাম শিগগির নেয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী।

(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :