বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ৬ দিন পর উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত নুরুদ্দিনের লাশ ছয়দিন পর নদী থেকে উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বালুগ্রাম এলাকায় মহানন্দা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত নুরুদ্দিন ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরী নামোটোলা গ্রামের দুরুল হোদার ছেলে।

এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে নুরুদ্দিনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভোলাহাটের জেকে পোল্লাডাঙ্গা সীমান্তে দিয়ে ভারতে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় গুঞ্জন উঠে নুরুদ্দিন ভারতীয় সুখনগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে মারা গেছে এবং স্থানীয় জেলেরা ভারতীয় অংশে তার মরদেহ মহানন্দা নদীতে ভাসতে দেখে। ওইদিন রাতে গোলাগুলির শব্দও শুনেছেন এলাকার লোকজন।

নুরুদ্দিনের বাবা দুরুল হোদা ও তার ছোট ভাই দেলোয়ার জানান, খবর পেয়ে ৫৯ বিজিবিকে ঘটনাটি জানানো হলেও লাশটি উদ্ধারে বিজিবি কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো বিজিবি জানায় সীমান্তে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

বুধবার দুপুরে ভাসমান অবস্থায় নুরুদ্দিনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করলে বিকালে তার পরিবার লাশটি শনাক্ত করে এবং নুরুদ্দিনের বুকের বাঁ পাশে গুলির চিহৃও দেখা যায়।

এ বিষয়ে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহমুদুল হাসান বলেন, খবরটি জানার পর আমরা বিএসএফকে জানালে তারা অস্বীকার করে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খোঁজ খবর নিয়েও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে বুধবার মরদেহ উদ্ধারের পর নুরুদ্দিনের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে বিএসএফকে।

(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/কেএম)