লক্ষ্মীপুরে সড়কের ওপর বিদ্যুতের খুঁটিতে জনদুর্ভোগ

আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১১

লক্ষ্মীপুরে সড়কের মাঝখানে অর্ধশতাধিক বিদ্যুৎতের খুঁটি। গত দুই বছরেও খুঁটিগুলো সরানো হয়নি। এসব ‘কাঁটা’র যন্ত্রণা নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এ কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারি কাজের সঠিক তদারকি না থাকা ও সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তবে পল্লী বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগ পরস্পরকে দুষছে। প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা বলছেন এসব খুঁটি সরাতে সময় লাগবে আরো কয়েক মাস।

লক্ষ্মীপুর-চন্দ্রগঞ্জ ছয়ানী-মাইজদী সড়ক এটি। আর এসব খুঁটিগুলো ছিল সড়কের পাশে। সড়ক প্রশস্ত করার কারণে সেগুলো পড়েছে মাঝখানে। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। এত দিনেও খুঁটিগুলো সরানো হয়নি। সড়কের কামারহাট থেকে দাসের হাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে অন্তত রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি। ব্যস্ততম এই রাস্তার মাঝখানে একটু পরপরই দেখা মেলে এসব পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ছোট-বড় কয়েক হাজার যানবাহন। এতে প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

এসব খুঁটি সরানোর জন্য সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকারি কাজের সঠিক তদারকি ও সমন্বয় না থাকার কারণে বছরের পর বছর সড়ক থেকে খুঁটি সরানো হচ্ছে না। এক বিভাগ অন্য বিভাগকে দোষ চাপিয়ে দায় সারতে চায়।

সড়কের আশপাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। তাই প্রতিদিনই নানা কাজে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহন ও সাধারণ মানুষদের। রাস্তার মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের এসব খুঁটির কারণে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত এসব খুঁটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও স্থানীয়রা।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, খুঁটি সরাতে সড়ক বিভাগকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরাদ্দর অভাবে খুটি সরানো যাচ্ছেনা। খুঁটি সরাতে সড়কবিভাগ যেভাবে সহযোগিতা করার কথা তাও করছে না বলে অভিযোগ করেন পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা।

লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সড়কের ওপর নিজেদের মন মতো যেখানে-সেখানে খুঁটি স্থাপন করেছে। কোনো অনুমতির তোয়াক্কা করছে না। তাদের বারবার খুঁটি সরানোর জন্য বলা হলেও তারা খুঁটি না সরিয়ে উল্টো বরাদ্দের জন্য সড়ক বিভাগকে চিঠি দেয়। মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে। তবে আরো কয়েকমাস সময় লাগবে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :