ববির চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২০, ২২:২৭

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চারজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ  করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ধর্ষণবিরোধী প্রদীপ মিছিল শেষে বাসায় ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

দপদপিয়া (শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত) সেতুর টোল প্লাজা থেকে মোটরসাইকেল আরোহী সাতজন তাদের অপহরণ  করে। পরে রুপাতলী হাউজিংয়ের ৮ নম্বর সড়কে নিয়ে তাদের আটকে রাখা হয়।   

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আনিকা সরকার সিথী এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সৈয়দা ফেরদৌস জেবা, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শুয়াইব ইসলাম স্মরণ ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী রাকিব মাহমুদ।

অভিযুক্ত রাহিম মাহমুদ, আবীর, লিমন ঝালকাঠি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহমুদুল মুনিম। বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী প্রদীপ মিছিলের মধ্যে এক মোটরসাইকেল অরোহী হঠাৎ ঢুকে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব আহত হয়। এরপর মোটরসাইকেল আরোহী ও তার সঙ্গে থাকা একজনকে ক্যাম্পাসের দায়িত্বরত পুলিশ আটক করে। মিছিল শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে এলে ক্যাম্পাস ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে সেতুর উপর গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই যুবকরা তাদের অপহরণ করে রুপাতলি নিয়ে আটকে রাখে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে দুই ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং ছাত্রদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষার্থী আনিকা সরকার সিথী তাদের থেকে লুকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক গ্রুপে আটকে রাখার বিষয়ে পোস্ট দেয়। তখন মাহমুদুল হাসান তমাল, সজল, হাসিব, শাওনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে  যুবকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো শিক্ষার্থীরা রুপাতলি গেলে মোটরবাইক ফেলে অপহরনকারী বখাটেরা পালিয়ে যায়। এসময় একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহমুদুল মুনিম মুঠোফোনে জানান, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই থানায় ফোন করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাতের আঁধারে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় ভুক্তভোগীদের নিয়ে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/কেএম)