১৩ দিন আটকে রেখে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, খালু কারাগারে
চাঁদপুরে টানা ১৩ দিন আটকে রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠেছে। এ অভিযোগে ওই কিশোরীর আপন খালু কামরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামে এ ‘ধর্ষণের’ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার কামরুলের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে লোভ ও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করেই ক্ষান্ত হয়নি গ্রেপ্তার কামরুল। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য কামরুল বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগীকে চাপের মুখে রাখে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর ৭ অক্টোবর গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই বছর যাবৎ ওই কিশোরীকে বহুবার ‘ধর্ষণ’ করেছে কামরুল হোসেন। সর্বশেষ গত ২৫ সেপেটম্বর ওই মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় কামরুল। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত ৭ অক্টোবর রায়পুর পৌর এলাকার খাজুরতলা সেলিম মঞ্জিল থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পর তার মা কামরুলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, ৭ অক্টোবর কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়। এরপর গ্রেপ্তার কামরুলকে ৮ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাসহ ধর্ষণ ঘটনার বিবরণ দিয়ে চাঁদপুর আদালতে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ হোসেন জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি জব্দ করেছেন। তিনি তা সিআইডিতে পাঠিয়ে দেবেন।
(ঢাকাটাইমস/৯অক্টোবর/পিএল)