উপ-নির্বাচন: প্রচার-প্রচারণায় সরগরম নওগাঁ-৬ আসন

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৫২

জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের জনপদ। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবে পরিণত হয়েছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলগুলোতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার পাড়া-মহল্লায় চলছে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা। আর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। এতে করে প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নওগাঁ-৬ আসন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম রেজুর পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এ আসনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী নিজেরাই ও তাদের লোকজন।

এছাড়াও এ আসনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির ইন্তেখাব আলম রুবেল আম মার্কা নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাকে মাঠে বেশি দেখা যাচ্ছে না।

নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় মুখর এই জনপদের অলিগলি। সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনী আমেজ। তবে এ আসনে নৌকার অবস্থান বেশ ভালো।

উপ-নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে নৌকার প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল, ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু।

এ আসনের দুটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন।

জানা গেছে, নওগাঁ-৬ আসনে ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান। ২০০১ সালে আবার আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রয়াত ইসরাফিল আলম। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন। একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে আবারো বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে।

এক সময় এ দুই উপজেলা ‘জঙ্গি এলাকা’ হিসেবে পরিচিত থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অনেকটায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের সময় কোন ধরনের প্রাণহানি চান না এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনরা।

গত ২৭ জুলাই এই আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে নির্বাচন কমিশন।

নওগাঁ-৬ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সকল বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবেন এলাকার উন্নয়ন করবেন ও যাকে তারা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করবেন- তাকেই তারা ভোট দেবেন।

(ঢাকাটাইমস/৯অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :