ফেল করেও পাস সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

পরীক্ষা মানেই যুদ্ধক্ষেত্র। আর যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ না করেই জয় লাভ করছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তবে ইতিমধ্যেই যারা এইচএসএসসি পরীক্ষার মঞ্চ অতিক্রম করে এসেছে কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের জন্য সরকারের এই বিকল্প মূল্যায়ন বেশি আনন্দের। কারণ এই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও পাবে উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসিতে দুই বিষয়ে (সর্বোচ্চ চার পত্র) ফেল করলে পরের বছর শুধু ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে একজন শিক্ষার্থীকে সাতটি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসতে হয়। কিন্তু এবার করোনায় আটকে থাকা এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ পরীক্ষার্থীকে পাস করানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘গতবার যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’

আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। সেই হিসেবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছিল তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার পরীক্ষা না দিয়েই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে পাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ। আর এইচএসসি ও সমমানের এই ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো জটিলতার শিকার হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই ফল তাদের পূর্বতন পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের নিয়মে পরীক্ষা আয়োজন করবে। সেখানে কোনো বাধা আসবে না। ’

এমনকি বাইরের দেশগুলোতে পড়তে গেলেও শিক্ষার্থীদের কোনো জটিলতায় পড়তে হবে না বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, করোনার প্রভাবে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা আটকে ছিল। ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর অবসান হলো সরকারের বিকল্প মূল্যায়নে। নিয়মিত, অনিয়মিত কিংবা অকৃতকার্য সবাই পাবে সার্টিফিকেট।

(ঢাকাটাইমস/০৯অক্টোবর/টিএটি/জেবি)