মাগুরায় বিরোধের জের ধরে শিশুকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে মাহিদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নিকটাত্মীয়রা। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বারাশিয়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে রবিবার দুপুরে মাহিদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।

নিহত মাহিদ বারাশিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান মোল্যার ছেলে। সে বারাশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় মাহিদের চাচা আসলাম মোল্যা(৫০) ও তার ছেলে রোহানকে(১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতের বাবা মুজিবুর রহমান জানান, তিন বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে চাচাতো ভাই আসলাম মোল্যার সঙ্গে বিরোধ হয় মুজিবর রহমানের। এই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আসলাম মোল্যা ও তার ছেলে রোহান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত বুধবার সকালে মাহিদকে স্থানীয় নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি তালের ডোঙ্গার সঙ্গে হাত বেঁধে মাহিদকে নদীতে ডুবিয়ে দেয়।

এদিকে মাহিদকে না পেয়ে ওই দিন রাতে মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মুজিবুর রহমান। পরদিন মাহিদের নানা দুলাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাহিদ হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে রোহান। তার তথ্যের সূত্র ধরে ডুবুরিদের মাধ্যমে দুই দিনের তল্লাশি শেষে রবিবার দুপুর ২টায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় রোহানের বাবা আসলাম মোল্যাকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত মাহিদের বাবা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/কেএম)