ঢাকা-৫ উপনির্বাচন: ইসিতে বিএনপি প্রার্থীর ছয় অভিযোগ

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৩ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, তিন কমিশনার, সচিব এবং বিএনপির পক্ষে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ঢাকা-৫ আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছয়টি অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী।

সিইসিকে লেখা অভিযোগপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলেন, 'আমি গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে বারবার হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলাসহ নানারকম বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। যা আমি লিখিত ও মৌখিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ আপনার দপ্তরে পেশ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।'

অভিযোগগুলো উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গ, তাদের হামলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনী গণসংযোগে নিরাপত্তা চেয়ে, নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ধারাবাহিক হামলার মোকাবেলায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে না পাওয়া, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যত্রতত্র পথসভা, রঙিন বিলবোর্ড, রঙিন পোস্টার সাঁটিয়ে, রাস্তায় রাস্তায় রশি দিয়ে পোস্টার ঝুলিয়ে ধারাবাহিক আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এবং ৭ অক্টোবর ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেমরা বামৈল ব্রিজে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে হামলা ও আমার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ও আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।

এদিকে দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

নির্বাচন হচ্ছে করোনাকালে। আজকেও এক প্রার্থী এলেন শোডাউন করে। তারা স্বাস্থ্যবিধি ও আচরণবিধি মানছেন না। সে জায়গাতে আপনাদের করণীয় কিছু আছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চান। জবাবে সিইসি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলেছি। এগুলো তাদের নিজেদের ব্যক্তি সচেতনতার বিষয়। এখানে আমরা অনুরোধ করি। কিন্তু তারা প্রতিপালন করেন না। শুধু তারা কেন, বাংলাদেশের যেখানেই যাই সেখানেই তো দেখি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করার বিষয়টা উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে বারবার অনুরোধ করতে পারি, আশা করি তারা মানবে। এ পর্যায়ে তাদেরকে অনুরোধ করা ছাড়া কিছুই করার নাই।’

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/জেআর/জেবি)