দশ মামলায় ১৪ শিশুর ব্যতিক্রমী রায়

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১৮:১৭

নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে মাদক, জুয়া, মারধরসহ ১০ মামলায় ১৪ শিশুকে ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছে জেলা শিশু আদালত। এসব শিশুদের সংশোধনাগারে অন্যান্য অপরাধীদের রাখা হবে না।

তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাত প্রবেশন শর্তে পারিবারিক বন্ধনে রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে শিশু আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন।

প্রবেশন অপেন্ডারস অরডিন্যান্স ১৯৬০’র ৫ ধারা ও শিশু আইন ২০১৩’র ৩৪(৬) ধারায় এ রায় দেওয়া হয়। ১৪ শিশুর প্রত্যেককে এক বছর করে প্রবেশন কর্মকর্তা ও পরিবারের অধীনে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক জাকির হোসেন।

এসব শিশুদের দেওয়া প্রবেশন শর্তগুলো হলো- মা-বাবার সেবা করা ও নির্দেশ মেনে চলা, নিয়মিত ধর্মীয় অনুশাসন, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ২০টি গাছ লাগানো ও পরিচর্যা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ এবং মাদক সেবন না করা।

শিশুদের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের ফেরানোর নজির হয়ে থাকবে এ রায় বলে মন্তব্য করেছেন জেলার সচেতন মহল।    

আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদক, জুয়া, মারধর, দলবদ্ধ সংঘর্ষ, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ধর্ষণের অপরাধসহ দশটি পৃথক মামলায় এসব শিশুদের সংশোধনের এ রায় দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন বিচারকার্য শেষে আদালতের এ রায়ে শিশুদের প্রবেশন দেওয়ার উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়, পারিবারিক বন্ধনে রেখে শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, প্রবেশন কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে রেখে শিশুরা যেন ভবিষ্যতে অপরাধে না জড়ায় এবং জীবনের শুরুতেই যাতে তাদের অপরাধের কালিমা স্পর্শ না করে সে জন্য এ রায় দেয়া। এছাড়া সংশোধনাগারে অন্যান্য অপরাধীদের সংস্পর্শ না থেকে পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাদের যাতে মানসিক বিকাশ ঘটে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণ সাধন হয় এ উদ্দেশে ব্যতিক্রমী রায়টি দেওয়া হয়েছে।

এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি নান্টু রায়।

তিনি জানান, প্রতি তিন মাস পর পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার শর্তে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/পিএল)