কৃষকের সহধর্মিনীর কান্না থামালেন সিংড়ার মেয়র
নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানির তোড়ে পৌর এলাকার শোলাকুড়া গ্রামে পাকা সড়ক ভেঙে এখন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন। ভাঙনে অনেকেই বাড়ি-ঘর ও ভিটা-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব। আত্রাই নদীর পানির সেই ভয়াবহ স্রোত না থাকলেও থামেনি নদী ভাঙন। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন করে আবারও অনেক বাড়ি ও বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ শোলাকুড়া ভাঙনে নতুন করে কৃষক সবুজ আলীর বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়ে। বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে পেরে ছুটে যান সিংড়ার পৌর জান্নাতুল ফেরদৌস। কৃষকের সহধর্মিনী শ্যামলী বেগমের কান্না দেখে সঙ্গে থাকা কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নিজেই পানিতে নামেন মেয়র। বালুর বস্তা ও বাঁশ-তালাইয়ের বেড়া দিয়ে বসতভিটাটি রক্ষা করেন। পরে পানির স্রোতে দাঁড়িয়েই দুপুরের খাবার খান।
গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েলসহ অর্ধ প্রায় ৩০ জন কর্মী সমর্থক এই কাজে অংশগ্রহণ করেন।
মেয়র বলেন, এবারের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শহরের শোলাকুড়ায় পানির তোড়ে অন্তত ১৬টি বসতভিটা সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। আর যেন নতুন কোন বাড়ি-ঘর বিলীন না হয়, সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ সহনীয় ঘরের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এলএ)