টুর্নামেন্ট সেরা সংগ্রহ তামিমদের
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ২২১ রানের পুঁজি জড়ো করেছে দলটি। বাজে শুরুতে ব্যাটিং ধসের শঙ্কা জাগালেও শেষদিকে মেহেদী হাসানের দুর্দান্ত ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পান তামিমরা।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই অধিনায়করা নিলেন এমন সিদ্ধান্ত। তানজিদ তামিম আল-আমিনকে দুই চার মেরে শুরু করেছিলেন, তবে আবারও আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন পুল করতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে। এনামুল হক বিজয় তাসকিন আহমেদের বেরিয়ে যাওয়া বলে এজড হয়ে স্লিপে সৌম্যর ভাল ক্যাচে পরিণত হয়েছেন, এর আগে তামিমের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩০ রানের।
পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৪৯ রান তুলেছিল তামিম একাদশ, টুর্নামেন্টের গতিধারায় রান-রেটের হিসেবে যাকে ভালই বলতে হবে। তাসকিন, আল-আমিন, মুগ্ধর পর নাঈমকে এনেছিলেন শান্ত, নিজের দ্বিতীয় ওভারে মিঠুনকে ফিরিয়েছেন এই অফস্পিনার। মিঠুন সুইপ করতে চেয়েছিলেন, মিস করে হয়েছেন বোল্ড।
এতক্ষণ টিকে ছিলেন তামিম, তবে একপাশের উইকেটের যাওয়া-আসার মাঝে নিজেকে খোলসের ভেতর ঢুকিয়েছিলেন তিনি। ইনিংসে ৪টি চার মেরেছেন, তবে এর সবকটিই ৮ম ওভারের আগে। ১৬তম ওভারে নাঈমের বাইরের বলে সামনে ঝুঁকে খেলতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে এজড হয়েছেন তিনিও, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন স্লিপে ক্যাচটা ঠিকঠাক হয়েছে কিনা সেটির আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জানতে। ৪৫ বলে ৩৩ করে ফিরেছেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন দিপু ও মোসাদ্দেক হোসেনের জুটি উইকেটে একটু লাগাম পরিয়েছিল, মোসাদ্দেক অবশ্য টিকে থাকার দিকেই মনযোগের সবটুকু দিয়েছিলেন। দিপু শট খেলেছেন, দুটি চারের সঙ্গে রিশাদকে ইনসাইড-আউটে মারা ছয়টা তার হাইলাইটস। তাদের ৪০ রানের জুটি ভেঙেছেন রিশাদ, তামিমের মতো সামনে ঝুঁকে খেলতে গিয়ে এজড হয়েছেন মোসাদ্দেকও, ৪৬ বলে ১২ রানের কষ্টসাধ্য ইনিংসটা শেষ হয়েছে তার। বিজয়-মিঠুনের পর একাদশের তৃতীয় উইকেটকিপার হিসেবে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আকবর আলি। রিশাদের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে এজড হওয়া থেকে বেঁচেছিলেন, তবে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আল-আমিনকে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড-অনে বেশ আলগা ক্যাচ দিয়েই ফিরেছেন তিনি।
দিপু এতক্ষণ যেমন আশাজাগানিয়া ব্যাটিং করেছিলেন, আউট হয়েছেন ততোটা হতাশাজনকভাবেই। রিশাদের লেগস্টাম্পের বেশ বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে আল-আমিনের আগে ধরা পড়েছেন, ৫২ বলে করেছেন ৩৩ রান। শেষটা হুড়মুড় করেই হবে, সাইফউদ্দিনের এরপরের শটটা বলছিল এমনই। আল-আমিনকে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে বলের নাগাল না পেয়ে বোল্ড হলেন তিনি, ১৫ ওভারেরও বেশি থাকতে ৮ম উইকেট হারিয়ে ফেলল তামিম একাদশ।
তবে দ্রুতই তাদেরকে অল-আউট করার আশাটা পূর্ণ হলো না নাজমুল একাদশের। বৃষ্টি বাধার আগেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মাহাদি, রিশাদ-আল-আমিনকে দুই চারের পর নাঈমকে ওয়াইড লং-অন দিয়ে ছয় মেরেছিলেন। বৃষ্টির পর তাসকিনকে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরে শুরু করলেন, মুগ্ধকে আপার-কাটে আর মেরে করলেন ফিফটি।
মাহাদি নিজেকেও ছাড়িয়ে গেলেন সৌম্যর করা ৪৯তম ওভারে। প্রথমে লো-ফুলটসে ছয়ের পর পুল করে পাঠালেন ইস্টার্ন গ্যালারিতে, লং-অফ দিয়ে চারের পর মিসফিল্ড থেকে কাভার দিয়ে চার পেলেন আরেকটি। শেষ পর্যন্ত মুগ্ধকে স্কুপ করতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। তাইজুল অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ২০ রান করে।
(ঢাকাটাইমস/১৫ অক্টোবর/এআইএ)