যশোরের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

যশোরের মণিরামপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ায় ফাঁকা রাস্তার ওপরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া জয়ন্তা গ্রামের প্রবাসী আক্তার গাজীর ছেলে বাদল গাজী (২৪) ও নিকমল মোল্যার ছেলে আহাদ মোল্যা (২৫)। তবে কারা কী কারণে তাদের হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

নিহতরা সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে বাদল রূপদিয়া বাজারে ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। আর আহাদ পেশায় কৃষক। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে থানা পুলিশ লাশ হেফাজতে নেয়। ঘটনাস্থলে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিল৷

ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাসির বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যার কিছুসময় পরে আমি বাড়ির উঠোনে বসেছিলাম। তখন রক্তাক্ত একজন দৌঁড়ে এসে বলেন, ‘চাচা, আমারে বাঁচান। এই বলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন আমরা বাড়ির সবাই চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে নিয়ে ভ্যানে করে হাসপাতালে রওয়ানা হয়।

পথে সদর উপজেলার চাউলিয়া গেটে ওই ছেলেটির মৃত্যু হয়। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখে, আরেকজনের লাশ রাস্তায় পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা লাশটি বাদলের। আর হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত যুবকের নাম আহাদ।

নিহতদের স্বজনরা জানান, বাদল ক’দিন আগে নতুন মোটরসাইকেল কেনেন। ইন্টারনেট ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিলেন। তখন বাদলের ফোনে কল এলে তারা দুজন মোটরসাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন।

স্থানীয়দের ধারণা, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশে তাদের ডেকে এনে খুন করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ঘটনাটি আশপাশের লোক দ্রুতই টের পেয়ে যাওয়ায় তারা মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায়।

মণিরামপুর থানার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশ দুটি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।

যশোরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি বলেন, কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি এবং এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি৷

(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/কেএম)