সিটিও ফোরামকে হাই টেক পার্কে জায়গা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন পলক

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৮

১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে এক ভার্চুয়াল আয়োজনের মাধ্যমে সিটিও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অংশগ্রহণ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন উদ্ভাবনে সাহায্য করবে এই ইনোভেশন সেন্টার। বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি জায়ান্ট আমাজনের সহযোগিতায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইনোভেশন সেন্টারটি কাজ করবে।

এই পরিবর্তিত বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নতুন উদ্ভাবনের বিকল্প নেই বলে মত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, তরুণেরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ক্লাউড, এআই, ব্লকচেইনসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি শিখতে হবে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই তরুণ। তারাই আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার ছাপ রাখতে পেরেছি। এ ধরনের ইনোভেশন সেন্টারে তরুণদের সেই পথচলায় কাজে লাগবে।

তিনি উদ্যোগে আমাজনকে যুক্ত করায় সিটিও ফোরামের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, সিটিও ফোরাম অন্যান্য টেক জায়ান্ট গুলোকেও এই আয়োজনে যুক্ত করবে। তিনি হাই টেক পার্কে ইনোভেশন সেন্টারকে একটি জায়গা ও উন্নত ল্যাব প্রদানের ঘোষনা দিয়ে ভারচুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।

আয়োজনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজন সঠিক ভাবে সমস্যা গুলো কে বুঝতে পারা। আমাদের সমস্যাগুলো বাইরের দেশগুলোর বা কোম্পানিগুলোর সঠিক ভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়, তাই আমাদেরই সমস্যাগুলোর উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে। এর বাস্তব প্রয়োগের ব্যাবস্থাও আমাদেরই করতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সিটিও ফোরামের এই ইনোভেশন সেন্টার নানা সমস্যা সমাধানের প্রোটোটাইপ নিয়ে এগিয়ে আসবে।

আয়োজনের সভাপতির বক্তব্যে সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে সিটিও ফোরাম ২০১২ সাল থেকেই কাজ করেছে। সরকারের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা বাস্তবায়ন ও প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে সিটিওরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের আরেকটি উদাহরণ আজকের এই ইনোভেশন সেন্টার। এখান থেকে সমস্যার বাস্তবিক সমাধানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহারের মাধ্যমে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হবে এবং পরবর্তিতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ সকল সমাধান ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে।

তপন কান্তি বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল তৈরি করবে এ ইনোভেশন সেন্টার। এখানে আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ছাড়া বাস্তবিক উদ্ভাবন সম্ভব নয় এবং এই প্রশিক্ষণের জন্য আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকবে। সেই সাথে বিজয় দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তী তে এই সি টি ও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টার থেকে প্রাপ্ত আইডিয়া নিয়ে হ্যাকাথন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি বিকর্ণ কুমার ঘোষ-এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী আয়োজনে অডিও ভিজুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে ইনোভেশন সেন্টারের কার্যক্রম তুলে ধরেন সি টি ও ফোরামে যুগ্ন সচিব এবং ইউসিবিএল ব্যাংক-এর ডিএমডি আবদুল্লাহ আল মামুন।

আয়োজনের সমাপনি বক্তব্যে সিটিও ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল এবং পুবালই ব্যাংক লিমিটেড এর এ এম ডি জনাব মোহাম্মদ আলী আই সি টি ডিভিশনের সাথে ভবিষ্যতে আরো সম্পৃক্ত ভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও নিজেস্ব সফটওয়্যার তৈরিতে সিটিও ফোরমের সহোযোগিতার ইচ্ছার কথা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এবং সিনিয়র সচিব মহোদয় কে আশ্বস্ত করেন।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন ইনোভেশন সেন্টার এর টেকনিক্যাল লিড ও বাংলালিংক এর আই টি ডিরেক্টর সোহাইল রেজা, আমাজন ওয়েব সার্ভিস-এর এশিয়া প্যাসেফিক সলিউশন আর্কিটেক্ট ডিপার্টমেন্ট প্রধান মাহাদি উজ জামান, ইনোভেশন সেন্টারের ট্রেনিং প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষনার্থী ছাড়াও সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর সকল কার্যনীর্বাহি সদস্য ও ফেলো সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সিটিও ফোরামের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :