হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযানে বিপাকে রেলওয়ের কর্মচারীরা

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায় গত দু’দিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। তবে নোটিশ না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রেলওয়ের কর্মচারীদের বেশ কয়েকটি বাসা ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, তাদের জিনিসপত্র সরানোর সুযোগ দেওয়া হয় নি। এছাড়া তাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে এগুলো ভাঙা হবে বলা হলেও তা করেনি বলে জানান তারা।

জানা গেছে, লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বুধবার থেকে রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ ভাঙা হয় ১৭টি কোয়ার্টার ও রেলওয়ের জায়গায় থাকা অন্যান্য স্থাপনা।

রেলওয়ের কর্মচারী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, তিনি রেলওয়ের যে কোয়ার্টারে থাকেন সেটির চলতি মাসের ভাড়াও পরিশোধ করে রেখেছেন। অথচ বৃহস্পতিবার হুট করে এসেই তার নামে বরাদ্দ থাকা বাসা ভাঙতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। মালামাল সরানোর জন্য সময় চাইলেও সেটি সংশ্লিষ্টরা দিতে রাজি হন নি। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়ে যান তার মতো অনেকেই।

রেলওয়ের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত হরেকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘বৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করছি। কথা ছিলো, আপাতত অবৈধভাবে বসবাসরতদের বাসা ভাঙ্গা হবে। যাদের নামে বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিয়ে ভাঙা হবে। কিন্তু সেটা না করে হুট করে বাসা ভেঙে দিলে মালামাল সরাতে বেগ পেতে হয়।’

তবে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, ‘রেলওয়ে বাসাগুলো আমাদের অধীনে হলেও অভিযানের কাজটি করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে, যাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদের বাসা তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ বাতিল করে মালামাল সরানোর সময় দেওয়া হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘যাদের নামে এখনো বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’

তবে অভিযানের তদারকিতে থাকা রেলওয়ের পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশিক মাহমুদুল হক জানান, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের সরে যাওয়ার জন্য একাধিক চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই সরেন নি। তবে বরাদ্দ থাকা অবস্থায় কোনো কোয়ার্টার ভাঙা হয় নি।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/পিএল)