মা ইলিশ নিধনের অপরাধে ৯ জেলের কারাদণ্ড

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৬ | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৪

চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে পদ্মা-মেঘনায় নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে ইলিশ শিকারি নয় জেলেকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, পাঁচজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে দক্ষিণের চরভৈরবী পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দল এ অভিযান চালায়। এসময় নৌ-পুলিশের একাধিক দলকে তাদের সঙ্গে দেখা যায়।

এর মধ্যে জেলার মতলব উত্তরে অভিযানকালে সাতজন এবং হাইমচর থেকে আরো ২ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইমচরে দুই জেলেকে দুই বছর, মতলব উত্তরে সাত জেলেকে একমাস এবং একজনকে নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া প্রায় দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে এসব জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের আলু বাজার ফাঁড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার জেলেকে আটক করেছে।

এসময় আটকরা হলেন- শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের কালু মিজি, একই জেলার রাব্বি শেখ, জাফর ইসলাম ও শাহাদাত।

এছাড়া জেলা টাস্কফোর্সের নির্দেশনায় শাহিন মাঝি নামে এক অসাধু জেলেকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে জেলেকে নদী থেকে আটক হয়।

কোস্টগার্ড চাঁদপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান, চাঁদপুর কোস্টগার্ড, ফিসারি এবং নৌ পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোহনা থেকে শুরু করে আমিরাদ, লগ্গীমারারচর, কাঁচিকাটা, সুরেশ্বর, রাজরাজেশ্বর এলাকাসমূহে টহল দেওয়া হয়।

আটক শাহিন মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর বাজারের মিছির আলির ছেলে। এসময় তার থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা এবং ৫০ হাজার মিটার বেড়জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশনায় ওই জাল চাঁদপুর মোলহেডে এনে পুড়ে ফেলা হয়। জব্দ কাঠের নৌকাটি ফিসারির কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আটক জেলেকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে পালাক্রমে ১০টি দল দিনরাত নদীতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলার নদ-নদীতে সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময় ইলিশ বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :