সাতক্ষীরায় চার হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২০, ২০:৫৬

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চার খুনের ঘটনার পর থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়ার নিহত শাহিনুরের বাড়িতে এখনও কৌতুহলী মানুষের ভিড় কমেনি। সাতক্ষীরা-যশোর সড়কধারের পুরো বাড়ি ও পাড়াজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নিহতের ভাই গ্রেপ্তার রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক আব্দুর রাজ্জাক ও আসাদুলকে শুক্রবার বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিহতের স্বজনদের চোখে মুখে আতঙ্ক।

তবে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়া সুলতানা বর্তমানে কলারোয়ার হেলাতলা ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাসিমা খাতুনের কাছে রয়েছে।

এদিকে  সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শাহিনুর, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে ব্রজবক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন মাহি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে তাসনিম সুলতানার লাশ শুক্রবার ভোরে ব্রজবাকসা গ্রামে শাহিনুরের মামা আবদুল কাদেরের পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।

 সন্দেহজনক আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের  রিমান্ড আবেদন  জানিয়ে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক খলিসা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও নিহত শাহীনুর রহমানের হ্যাচারির কর্মচারী উপজেলার ধানঘরা গ্রামের আসাদুলকে শুক্রবার বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে একই পরিবারের এই হত্যার ঘটনায়  বৃহস্পতিবার রাতে কারো নাম উল্লেখ না করে  কলারোয়া থানায় মামলা করেছেন শাহিনুরের শাশুড়ি ময়না বেগম।

নিহতের মা আয়েশা খাতুন, বোন আছিয়া, ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী ফাহিমা বলেন, প্রতিবেশী আকবর আলীর সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। তারা বিভিন্ন সময়ে শাহীনুর ও রায়হানুলকে হুমকি দিয়েছে। আকবরকে না ধরে পুলিশ রায়হানুলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে বা তার পরিবারের কাউকে বাদী না করে পুলিশ শাহীনুরের শ্বাশুড়িকে থানায় ডেকে এনে মামলা করিয়েছে- এটা মেনে নেওয়া যায় না।

রায়হানুলের সাবেক স্ত্রী ফাহিমা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাকে বাপের বাড়ি থেকে ডেকে কলারোয়া থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১২টার পর বাসায় রেখে যায়। এ সময় রায়হানুলের হাতে একটি কাটা দাগ নিয়ে প্রশ্ন করে।

কলারোয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার মামলাটির তদন্তভার সিআইডির হাতে গেলেও তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে পুলিশ কাজ করছে।

সাতক্ষীরার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান বলেন, শুক্রবার সিআইডি কলারোয়ার ফোর মার্ডার মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহজনক আসামি হিসেবে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়ার হেলাতলা ইউপির খলিসা গ্রামে সন্ত্রাসীরা মাছের ঘের ব্যবসায়ী শাহিনুর, তার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করে।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এলএ)