হাজারেরও বেশি বন্দী বিনিময় করল হুথি ও ইয়েমেন সরকার

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইয়েমেনে পাঁচ বছর ধরে যুদ্ধরত দুপক্ষ নিজেদের মধ্যে হাজারেরও বেশি বন্দী বিনিময় সম্পন্ন করেছে। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী ও সৌদি সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের মধ্যকার দুই দিনব্যাপী এই বন্দী বিনিময় চুক্তি শুক্রবার শেষ হয়। খবর আল জাজিরা।

সৌদি সরকার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬৭১ জন হুতি বন্দীকে মুক্তি দিয়ে রাজধানী সানায় পাঠিয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যকার স্বাক্ষরিত ‘স্টকহোম চুক্তি’র অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই বন্দী বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হল।  

বন্দী বিনিময়ের তত্ত্বাবধানকারী রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি বলছে, ‘বন্দীদের নিয়ে এগারটি পৃথক বিমান ইয়েমেনের সানা, সেইয়ুন, আদেন; এবং সৌদি আরবের রিয়াদ ও আবহায় পৌঁছেছে।’  

২০১৮ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইয়েমেন সরকার ও হুথি বিদ্রোহীরা সুইজারল্যান্ডে এক আলোচনায় বন্দী বিনিময়ের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেন। পরবর্তীতে সেই অনুসারে হাজারেরও বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয় যুদ্ধরত এই দুই পক্ষ।   

হুথি বিদ্রোহীদের এক কর্মকতা আবদেল কাদের আল মরতাদা বলেন, ‘আমরা আরও একটি বন্দি বিনিময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি, চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র খুব দ্রুতই আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবে।’

কয়েদিদের এই মুক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেজ। তিনি বলেন, ‘স্টোকহোম চুক্তির বাস্তবায়নের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’

গুতেরেজ এক বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘যৌথভাবে আপনাদের উচিত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও মানবিক দিক বিবেচনা করে দীর্ঘদিনের এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতি ঘটানো।’ 

দুপক্ষের মধ্যকার দীর্ঘ পাচঁ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রায় এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট পরিবেশকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ ‘মানবিক অবস্থা’ বলে ঘোষনা করেছে জাতিসংঘ।

ঢাকাটাইমস/১৭ অক্টোবর/এনএইচএস