বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে সক্রিয় দিল্লি

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫৭

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

চীন এবং পাকিস্তানের চাপ সামলে দক্ষিণ পূর্ব এবং দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় প্রতিবেশী বৃত্তে নিজের অবস্থানকে জোরালো করার চেষ্টা শুরু করেছে ভারত। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নভেম্বর মাসে আমেরিকায় নতুন যুগ শুরু হওয়ার আগে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিকভাবে, গোটা অঞ্চলে নিজেদের মূল্য বাড়িয়ে রাখাটা মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। চীনের চাপে পাল্লায় হেলে থাকা প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার জন্য তাই বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে সাউথ ব্লককে। খবর আনন্দবাজারের।

সূত্রের খবর, আগামী মাসের গোড়ায় মালদ্বীপে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আগস্ট মাসে সে দেশের একটি সংযোগ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের কম সুদে ঋণদানের ঘোষণা করেছে ভারত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে চীনপন্থী নেতা আবদুল্লা ইয়ামিনের পতনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট হন ইবরাহিম সোলিহ। তিনি আসার পর এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব বেড়েছে। বিদেশসচিব গিয়ে সেখানে কিছু নতুন ঘোষণাও করতে পারেন বলে সূত্রের দাবি।

নেপালের সঙ্গে দ্বৈরথে জেরবার ছিল ভারত গত কয়েক মাস। ভারতের তিনটি ভূখণ্ডকে সে দেশ তাদের রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পর কূটনৈতিক বাদানুবাদ চরমে ওঠে। তবে দিল্লির ধারাবাহিক দৌত্যের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে বলেই দাবি করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ‘চীনপন্থী’ হিসেবে পরিচিত ঈশ্বর পোখরেলকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে সরানোর মাধ্যমে দিল্লিকে বার্তা দিয়েছেন। আগামী ৩ নভেম্বর ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে নেপাল সফরে যাবেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গেও সাম্প্রতিক তিক্ততা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দেখার একটা সক্রিয়তা বেশ কিছু দিন ধরেই শুরু হয়েছে। নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী স্থলপথে আগরতলা আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ঢাকা পৌঁছেছেন। পৌঁছেই সোজা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতিভবনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। সার্বিক পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারত বকেয়া সমস্ত চালান পাঠিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে।

আবার কাবুলের সঙ্গে তালেবানদের আলোচনা যখন থমকে রয়েছে, সে সময়েই ভারত নতুন দূত রুদ্রেন্দ্র টন্ডনকে পাঠাচ্ছে আফগানিস্তানে। সে দেশের শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা নিতে চাইছে সাউথ ব্লক।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/জেবি)