সংবাদমাধ্যম হোক শুভ সুন্দর ও কল্যাণে

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ
| আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১২:০৯ | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১২:০২

আজ সকালের একটি সুখবর। বিশ্বর সেরা শহর মেলবোর্নে মাত্র দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে। ৪ আগস্ট এই সংখ্যা ছিল ৬৮৭। মোট নাগরিক যেখানে ৫০ লাখ। সেই অনুপাতে এই সংখ্যা খুবই বিপদজনক ছিল। সারা বিশ্বের মানুষ বুকে পাথর চাপা দিয়ে সেই মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। এই লড়াইয়ে অনেকেই হেরে গেছেন। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছি। প্রতিদিন দুঃসংবাদ শুনতে শুনতে আমরা যেন পাথর হয়ে গেছি। এতো দুঃসংবাদের মাঝে একটি সুখবরের জন্য অপেক্ষা- ‘আমরা আজ মুক্ত’ সেই কথাটা শুনতে চায় বিশ্ববাসী। কিংবা একজন বিজ্ঞানী বলবেন ‘ইউরেকা’, ‘ইউরেকা’ আমি করোনাভাইরাসের ট্রিটমেন্ট পেয়েছি।

ভিস্টোরিয়া প্রদেশের সরকার সেই রকম একটি সুখবর দেবেন বলে দিন রাত কাজ করেছেন প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রু। সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে- বিচলিত হননি তিনি। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সুযোগ দিতে তিনি পিছুপা হননি। গতকাল এক ক্ষুব্ধ নাপিত দোকান খুলেছেন। পরিণামে তিন লাখ টাকা জরিমানা গুণছেন।

বিরোধী নেতা গতকাল ব্যর্থ হয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাব পাস করতে পার্লামেন্টে। কিছু কিছু আন্দোলন হয়েছে লকডাউনের বিপক্ষে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সরকারের পাশে ছিল। আমরা বাংলাদেশের মানুষ সেখানে কোথায় আছি- দয়া করে ভাববেন কি?

জনসংখ্যার ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম স্টেট হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলস। সেখানকার প্রিমিয়ার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে চাপে আছেন। বিরোধী দলের নেতাও মহিলা। কিন্তু অনেকেই ওই প্রিমিয়ার এর পক্ষে। কারণ আজকের এই বিশ্ব মহামারির মাঝে তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মত প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, এখানে বিরোধীদলীয় নেতা এন্থনি আলবানিজও বলেছেন, এই বিপদের দিনে তিনি সরকার পরিবর্তনের সংগ্রামে অবতীর্ণ হবেন না। এখানেই নেতৃত্বের মহাত্ম। ক্ষমতায় বসেই কেবল মহান নেতা হওয়া যায় না। মওলানা ভাসানী তাই আমাদের হৃদয়ে আছেন মজলুম জননেতা হয়ে ক্ষমতার বাইরে থেকে।

মওলানা ভাসানীর সহযোগীরাও এখনকার বিরোধীদলের মতো আচরণ করতো। তারা বলতো সব ভারত নিয়ে গেল। বঙ্গভবন নাকি ভারতীয়রা পাহারা দেয়। একদিন মিছিল নিয়ে মওলানা ভাসানী গেলেন বঙ্গভবন। সেখানকার গার্ডদেরকে পরিচয় দিতে বললেন। তারা কেউ বললো নোয়াখালী বাড়ি, টাঙ্গাইল বাড়ি, বরিশাল বাড়ি। এবার মওলানা ভাসানী তার সহোযোগীদেরকে বললেন - কোথায় ভারতীয়? এরা দেখি আমার লোক। এরকম মধুর একটি সম্পর্ক ছিল সরকারি -বিরোধী দলের মাঝে। আজ বিরোধী দল মধ্যবর্তী নির্বাচন চাইছে একটি অপপ্রচারণার ভিত্তিতে। তাদের কর্মকাণ্ড জনগণ কি ভুলে গেছে? কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন ভালো ফল করবেন এখন নির্বাচন হলে? যেভাবে বিগত নির্বাচনে সরকারের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করেছেন সেভাবে এই বিপদের সময় সহযোগিতা করে নিজেদের ইমেজ উদ্ধার করা সবচেয়ে উত্তম কাজ নয় কি? কারো অডিও টেপে শুনে বিভ্ৰান্ত হবেন না।

আমরা এখন লক্ষ্য করছি যুক্তরাষ্ট্রর নির্বাচন। সেখানেও অত্যন্ত সহনীয় ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন জো বাইডেন, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প একটু ভিন্নরকম। অপরদিকে সাজ সাজ রবে নির্বাচন হলো নিউজল্যান্ডে। সেখানে বিরাজ করছে এক আনন্দ আবহাওয়া।

আমরা সবাই জানি, মেলবোর্ন ও সিডনি বিশ্বের সেরা শহর। আর সেই সুনামকে ধরে রাখতে তারা এ পর্যন্ত একশো বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে সরকার। তারা হার্ড ইমিউনিটি নয় elimination এর পক্ষে। সুতরাং কঠোর লকডাউনের মধ্যে দিনাতিপাত করছে সবাই। মানুষ মুখোশের হাত থেকে মুক্তি চায়। একে অপরের হাসিমাখা মুখ দেখতে চায়। মানুষ ভাইরাস থেকে মুক্তি চায়। তারা মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিঃস্বাস নিতে চায়। সেই সুদিন আর বেশি দূরে নয়।

বিকল্পগুলো না দেখে হার্ড ইমমুনিটির দিকে হাঁটলে নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। অথচ আমরা খেটে খাওয়া মানুষের দোহাই দিয়ে ওই রকম একটি অজানা পথে হাঁটছি। কথায় আছে- নিজের বা অন্যের ক্ষতি তোমরা করোনা। কিন্তু আমরা এর কোনোটি থেকে বাদ যাচ্ছি না বললে ভুল হবে কি?

ওপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথা হলো জাউ খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু কোভিডের কাছে হার মানা যাবে না। কিন্তু আমরা কি না আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়ে সমাজে অনাসৃষ্টি করছি। আর মেতে উঠেছি ধর্ষণ ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে। এভাবে আমরা সরকারের মনোযোগকে বিভক্ত করে দিচ্ছি যাতে সরকার ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করে। এই নেতিবাচক রাজনীতির হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায় বলে বারবার রায় দিচ্ছে বাংলার মানুষ। কিন্তু কারো কারো যেন হুঁশ নেই!

বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। নগ্নতাকে একদল স্বাধীনতা মনে করে। তারা সর্বোচ স্বাধীনতার সংগ্রাম করে। তারা সমকামিতাকে কোনো সমস্যা মনে করে না। তারা সনাতনী পরিবারের সংজ্ঞা বদলে যেমন খুশি তাই করতে চায়। অপরদিকে আছে আরবের কঠিন শাসন। এই দুই সংস্কৃতির সংঘর্ষে বাঙালি জীবনে নেমে এসেছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা।

আমাদের আকাশ মুক্ত বিদেশি মত ও সংস্কৃতির জন্য। কিন্তু যদি আমরা বিদেশিদের মতো সরকারের সমালোচনা করি- তাহলে ডিজিটাল আইনের জালে ধরা খেতে হবে; একেবারে কারেন্ট জালের চেয়েও ঘন জাল ডিজিটাল আইন। এখানে বিদেশ সংস্কৃতি অচল। মানুষ ভয়ে একজনের পোস্টিংয়ে আরেকজন লাইক পর্যন্ত দেয়া ভুলে গেছে। ভাবতে খুব কষ্ট লাগে। কিন্তু কেন?

ওই আকাশ পথে আসা, যা আমাদের শিশু -যুবকদেরকে কুশিক্ষা দেয়, নগ্নতা বাংলাদেশের শিশুদেরকেও আক্রান্ত করছে। বাংলাদেশ কেবল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়- সংস্কৃতির ভাইরাস কুরে কুরে খাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষদেরকে। সরকার যেন ওই অবাধ প্রবাহকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আগামী প্রজন্মর কথা ভেবে।

মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার দুটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। আমরা কতটা নিষ্ঠুর যে বিচারক শিশুদেরকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হননি! এই সংবাদটি শিশুগুলোর ন্যায়বিচার পাওয়াতে ভূমিকা রেখেছে। অপরটি হলো শিশুদের ঘরে ফেরার সংবাদ। আমরা কতটা নিষ্ঠুর যে গভীর রাতে আদালত বসিয়ে শিশুকে তার ঘরে ফেরার অধিকার দিতে হয়। আমরা আসলে কোথায় যাচ্ছি? এখানে সংবাদ মাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

সাংবাদিক বন্ধুদেরকে ফোন করলে প্রথমেই বলে নেয় তার ফোন নিরাপদ নয়! একথা শুনতে হতো ১/১১ র সময়। কিন্তু আজ কেন? আকাশপথে যদি নগ্ন ছবি আসে তা দেখতে বাধা নেই, আকাশপথে বিদেশ থেকে কোনো কথা আসলে তা শুনতে বাধা নেই, সেগুলো শুনে আন্দোলন করবার হুমকি দিতে বাধা নেই; তবে কেন আমার মনের কথা অন্যকে বলতে পারবো না? যৌক্তিক প্রশ্ন। আশা করি এর উত্তর আমরা একদিন পাবো।

আমাদের একটি সামাজিক রীতি হলো কাজের সময় ভাববে- তুমি কোন পরিবার থেকে এসেছো কথাটা ভাববে। আজ সেই সব নৈতিকতা নেই বললেই চলে।

আমার কষ্ট হয় দেশের লাখ লাখ শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না বিগত সাতটি মাস। আমরা কেবল অর্থনীতি দেখছি। আমরা ক্ষমতা দেখছি। আর তাই শাহবাগ-বায়তুল মোকাররম থেকে গর্জন করছি। একটি বারও কি ওই শিশুদের কথা ভাবা যায় না? আমরা কেন বলতে পারছি না- উপোস করে থাকবো- কিন্তু ভাইরাস মুক্ত জীবন চাই! আমরা কেন মাদককে না বলতে পারছি না? কেন আমাদের দেখতে হয় নিষ্ঠুর হত্যাকারীর আস্ফালন? কেন ভুলে যাই - কারা হত্যাকারীদেরকে সাংসদ বানায়?

আমাদের মাঝে ক্ষুদ্র স্বার্থ এতটা জেঁকে বসেছে যে, আমরা ভুলে গেছি আমাদের প্রকৃত আদব-কায়দা। আমাদের দায় সকলে মিলে- করোনা ভাইরাসমুক্ত জীবন যাপনের জন্য চেষ্টা করা। কিন্তু সেখান থেকে সরে গিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে ভাবে। তার দাবি ছিল -কোটা সংস্কার। এখনকার দাবি হতে পারতো কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টির দাবি। কারো অডিও শুনে আন্দোলনের হুমকি দিলে কোনো লাভ হবে না। বাংলার জনগণ কোনটা তামা আর কোনটা সোনা সেটা জানে।

ডাকসুর ভিপি থেকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার স্বপ্ন! স্বপ্ন মানুষকে উপরে নিয়ে যায় সত্যি। কিন্তু সেই স্বপ্ন হতে হবে জনকল্যাণের। বঙ্গবন্ধু যা বলতেন, যে স্বপ্ন দেখতেন, তা ছিল মানুষের স্বপ্ন-ব্যক্তিগত স্বপ্ন নয়। আপনার ক্ষমতার স্বপ্ন আপনার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়, দেশকে কোথায় নিয়ে গেল সেটা ভেবে দেখেছেন কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তিতে আমরা যা শুনলাম তাতে..... বলবার মতো শব্দ নেই আমার শব্দভাণ্ডারে।

এখন মানুষ নিরাপদ জীবন যাপনে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি চায়।

অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতি এই জনমুক্তির রাজনীতি। সেখানে স্কট মরিসন ও এন্থনি আল্বানিজ এক কাতারে আছেন। আর সেজন্য অনেক ক্ষুদ্র স্বার্থকে তারা ত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশের বিরোধী দলকেও সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আন্দোলনের হুমকি কেবল সেই ভালো কাজটিকে বিলম্বিত করবে। পেট্রল বোমার আন্দোলনের পরিণাম ভুলে যাবার কথা নয়।

মিডিয়াতে চোখ রাখলে দেখা যায় আমরা ভারত-চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু সমাজটা যে দিন দিন রুগ্ন হয়ে পড়ছে - তাকে দেখবার কেউ কি নেই বোধহয়? মাদক, কোরনা, ধর্ষণ সবই আমাদের শত্রূ। দেশ ও সমাজ রক্ষা করবার শপথ যারা নিয়েছেন তাদের দায় এখানেই। কিন্তু আপনাদের নিয়ে কিছু কিছু কথা সামাজিক মাধ্যমে শুনছি যা অনাকাঙ্ক্ষি-খুবই কষ্টদায়ক।

আসুন - আরবদের মতো ধনী না হয়ে আমরা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করি। আমরা আমাদের শিশুদের মুখে কী খাবার তুলে দিচ্ছি সেটা দেখি। আমাদের শিশুরা ঘরে বন্দী। তাদেরকে আলোরপথে চলতে মনোযোগী হই। আর যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন - প্লিজ সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষা, নৈতিক উন্নয়ন যেন অর্থনৈতিক উন্নয়নের আগে থাকে। আগামী প্রজন্মর জন্য ভাবি। তাদের স্বপ্ন যেন নষ্ট না করে দিই।

এখন পুরো বিশ্বর মানুষ ভীত, বিপদে। সেই বিপদাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত নয় কি? অনুগ্রহ করে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন: আমরা কোথায় যাচ্ছি? আমি যা করছি সেটা কতটুকু মানব কল্যাণ বয়ে আনবে? এখন সরকার পতনের আন্দোলনের সময় নয়। এখন সরকারকে সহযোগিতার মধ্যদিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের সময়।

দিল্লির বাসে ধর্ষণের খবর শুনে সবাই স্তম্ভিত হয়েছিল। আজ বাংলাদেশে যা হচ্ছে- তাতে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি আমাদের শিশুরা হারিয়ে ফেলছে কিন্তু! ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবার পাপাচারে নিজেকে কেউ জড়াবেন না প্লিজ! প্রয়োজনে বুকে পাথরচাপা দিয়ে আগামী প্রজন্মর ভালো মন্দ ভাবতে হবে। মিডিয়া সেই ভূমিকা পালনে ব্যর্থ নয় কি? মন্দ খবর ছাপা ভালো কিছু দিচ্ছে কি? এতে কিন্তু জাতির মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে! হচ্ছে না- কি? আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশে বিপদের মুখে পড়ছে। অনেকেই বলেছেন প্রচার প্রবণতাকে প্রভাবিত করছে। সুতরাং, সংবাদ প্রকাশে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন আছে। Malcolm X এর মতে “The media's the most powerful entity on earth. They have the power to make the innocent guilty and to make the guilty innocent, and that's power. Because they control the minds of the masses.” গণমাধ্যম পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সত্তা। তাদের ক্ষমতা আছে নির্দোষকে দোষী প্রমাণ এবং অপরাধীকে নির্দোষ প্রমাণ করার এবং এটাই শক্তি। কারণ তারা জনগণের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে- সুতরাং, সংবাদ মাধ্যম হোক শুভ সুন্দর ও কল্যাণে।

লেখক: শিক্ষক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :