ভাইদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৭ | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১৪:২৫

ভাইদের বিরুদ্ধে পৈতৃক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু। রবিবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সম্মেলনে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের এ মুক্তিযোদ্ধা।

এসময় লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ১২ বছর যাবৎ পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করতে পারছি না। এমনকি পৈতৃক বাড়িতে থাকতেও পারি না। আমার দুই ছেলে ঢাকাতে চাকরিরত অবস্থায় আছে। এই সুযোগে আমার সম্পত্তি আমার সহোদর ভাই আলতাফ ও সাফায়েত অবৈধভাবে জবরদখল করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে আমার তিন বিঘা পৈতৃক সম্পত্তি কৌশলে তাদের নামে রেকর্ড করেছে। এছাড়া কয়েক বিঘা জমি আমাকে না জানিয়ে অন্যত্র বন্ধক দিয়েছে। জমি ভাগ বন্টন না হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্রবাজ আলতাফ ও সাফায়েত জমি বিক্রি করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের সম্পত্তিও দখলের উদ্দেশ্যে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে তারা। তিনি জীবনের নিরাপত্তা ও সমাধান চেয়ে গত ২৬ আগস্ট আইজিপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করেন। পরে বিষয়টির মীমাংসার জন্য ১১ অক্টোবর দেবহাটা সার্কেল কর্তৃক বাদী ও বিবাদী পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য লিখিত আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আলতাফ সরকারি আদেশ অমান্য করে হাজির হয়নি। সেদিন উপজেলা মৎস্যজীবী দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেনের থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল আটক করে দেবহাটা থানা পুলিশ। এরপর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সাফায়েত অসুস্থতার নামে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর অস্ত্রবাজ আলতাফ হঠাৎ মুখে দাঁড়ি এবং তবলীগ জামাতে যোগ দিয়ে সুফি সেজেছেন। সে নোড়ারচক এলাকায় ৬০০ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখলে রাখতে গিয়ে জমির মালিক রুহুল কুদ্দুস, আতিয়ার রহমান এবং নেসার আলীসহ কয়েকজনকে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। যদিও তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে বেঁচে যায়। আলতাফ অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির, সে যেকোন সময় আমার জান-মালসহ বড়ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি ওই ভূমিদস্যু অস্ত্রবাজ আলতাফ ও সাফায়েতের কবল থেকে রক্ষা পেতে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সকলের কাছে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করছি। সেইসঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তির আপোষ বন্টননামার বিষয়েও সহযোগিতা চাইছি।’

এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, হাসানুজ্জামান ও জিল্লুর করিম।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :