ময়মনসিংহে ভুয়া কাজির এক বছরের সাজা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৫

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দিনভর চলে বিয়ের আয়োজন। রাতের আঁধারে বিয়ের কনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছরের কিশোরীর বিয়ে নিবন্ধনের জন্য ডাকা হয় কাজি। এরপর জানা যায় এই নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) ভুয়া। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বুনিয়াতপুর গ্রামে।

ঘটনা জেনে এলাকার লোকজন আটকে রাখেন কাজিকে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভিন বিয়ে বাড়িতে গেলে বর পালিয়ে যান। পরে আটকে রাখা কাজিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন সহকারী কমিশনার। রবিবার কাজিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমি আক্তারের সঙ্গে শনিবার বিয়ের দিন ধার্য হয় পাশের উচাখিলা গ্রামের দুলালের ছেলে ফয়জুর রহমান ফাহাদের(২০)।

দিনভর আপ্যায়ন শেষে বিকালে বাল্য বিয়েতে বাধা দেন এলাকার লোকজন। কিন্তু বাধা না মেনে রাত ১০টার পর খুব গোপনে অন্য এলাকা থেকে কাজির সহকারী শহিদুল ইসলামকে ডেকে এনে বিয়ের নিবন্ধন করিয়ে ফেলেন কনে ও বরের লোকজন। এ সময় ঘটনাটি টের পেয়ে এলাকার লোকজন কাজির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে কৌশলে সটকে পড়তে চান তিনি। পরে নিবন্ধন বইসহ তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে খবর দেয়া হয় উপজেলা প্রশাসনকে।

রাত ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভিন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। এসময় শহিদুল ইসলাম স্বীকার করেন তিনি প্রকৃতপক্ষে কাজি বা নিকাহ রেজিস্ট্রার নন। তার স্বীকারোক্তিতেই এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যামাণ আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো তিন মাসের জেল দেন সহকারী কমিশনার।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :