অগ্রাহ্য আকুতি
তোমার বোধে আজো যদি নিন্দা-ঘৃণার আগুন জ্বলে,
বিরাম বিহীন ঝড়তে থাকা শাওণ মাসের শিলার মতো,
আমার প্রেমকে ভাসিয়ে দিও নীলসাগরের ভাটার জলে,
তখন তুমি দেখবে আমার প্রেম স্বরূপেই কী শ্বাশত!
ডুমন্ত প্রেম আর্তনাদে বিলীন হবে অতল গুহায়;
ভাববে তুমি ভাটার টানে প্রেম ডুবেছে সাগর তলায়,
শরাঘাতে হত পাখি আর কি ফেরে আপন কূলায়!
কিন্তু সে প্রেম ফিরবে কূলে জোয়ার জলের দোদুল দোলায়।
আবার যদি ভাসাও তবু আবার সে প্রেম আসবে ফিরে,
প্রেম ভোলেনা তার ঠিকানা; নীড় যে তোমার হৃৎ-কুটিরে!
নোন্তা জলে খাবি খেয়ে ফিরবে ঢেউয়ের সফেন চূড়ায়,
প্রিতম যদি প্রেম না বোঝে চিরন্তনের প্রেম কি ফুরায়?
ঘৃণার বীণার তারের কাঁপন সুর তোলে না; নিনাদ ছড়ায়,
তারের শরীর বেয়ে কেবল অশ্রু ফোঁটার বিষাদ গড়ায়।
অপেক্ষারই হাওয়া ভরে প্রেমিক আশার বেলুন উড়ায়,
উপেক্ষারই আক্ষেপে সে অমর প্রেমে হৃদয় জুড়ায়।
তোমার কাছে প্রেম যদিও রোমান্টিকের আদিখ্যেতা,
আমার কাছে প্রেম জীবনের পূর্ণতা ও সার্থকতা।
তোমার ঘৃণা তোমার থাকুক প্রেমের থাকুক বিষন্নতা,
বিশ্বাসই তার কল্পতরু; প্রেম সে তরুর স্বর্ণলতা।
প্রেমের আবার সাফল্য কী, প্রেমের মাঝেই হয় সে সফল,
সাগর-সিনান না করলে কি শুকিয়ে যাবে সমুদ্র জল?
প্রেমিক যদি গোলাপ তুলে প্রিয়ার খোঁপায় নাই-বা গোঁজে,
না ফুটে কি গোলাপ কুঁড়ি রইবে খেদে চক্ষু বুঁজে?
‘মন দিয়েছি বলেই তুমি করবে প্রেমের শুভ বরণ!’
প্রেম মানে না এমন কোনো সহজ-সরল সমীকরণ।