শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে তামিম একাদশের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আরেকদফা বিবর্ণ টপ অর্ডার, উইকেট রীতিমতো দিয়ে এলেন তারা। রুবেল হোসেনের তোপে ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও ইয়াসির রাব্বি ও মাহিদুল অঙ্কনের ফিফটির পর ৭ম উইকেটে সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৭৫ রানে ভর করে ২২১ পর্যন্ত গেছে তামিম একাদশ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে হারা চলবে না মাহমুদউল্লাহ একাদশকে, এর আগে তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে তারা। 

এদিন টসে জিতে ব্যাটি করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে (৯ বলে ১ রান) হারায় তামিম একাদশ। এই ম্যাচেও মাহমুদুল্লাহ একাদশকে প্রথম উইকেটের খোঁজ এনে দেন রুবেল হোসেন। তানজিদের পর দলীয় ১১ রানে আবু হায়দার রনির শিকারে পরিণত হন ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া তামিম ইকবাল (১১ বলে ৯ রান)। এতে বেশ চাপে পড়ে যায় দল।

দুই ওপেনারের বিদায়ে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বিপর্যয় প্রতিরোধের দায়িত্ব পান এনামুল হক বিজয়। কিন্তু এই ম্যাচেও দুইজনের ব্যর্থতার পরিচয় দেন। রুবেলের বোলিং তোপে দলীয় ১৫ রানে বিজয় ও ১৭ রানে মিঠুন সাজঘরের পথ ধরেন। বিজয় ও মিঠুন দুইজনই মাত্র ১ রান করে করেন, বিজয় মোকাবেলা করেছেন ৯ বল ও মিঠুন ৭ বল।

দল যখন নিশ্চিত ব্যাটিং বির্যয়ের মুখে, তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুই তরুণের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলারদের। উইকেটে সেট হয়ে রানের গতিও বাড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে দুইজনই পূর্ণ করেন অর্ধ-শতক। তবে ১১১ রানের দারুণ পার্টনারশিপ ভেঙে যায় রান আউটের শিকার হয়ে ইয়াসির বিদায় নিলে।

অঙ্কনের সাথে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৮২ বলে ৬২ রান করেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায়। ইয়াসিরের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর বিদায় নিতে হয় অঙ্কনকেও। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকানো অঙ্কন ১১০ বলে ৫৭ রান করেন।

সপ্তম উইকেট জুটিতে দৃঢ়তা গড়ে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যদিও শেষদিকে আউট হয়ে যান দুেইজনই। তার আগে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় মোসাদ্দেক ৩৯ বলে ৪০ এবং ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাইফউদ্দিন ২৯ বলে ৩৮ রান করেন।

মাহমুদুল্লাহ একাদশের পক্ষ রুবেল হোসেন চারটি, এবাদত হোসেন তিনটি ও আবু হায়দার রনি একটি উইকেট শিকার করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯ অক্টোবর/এআইএ)