রূপগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩২

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:০১

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অস্ত্রধারীরা প্যান্ডেল, চেয়ার ও বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছে। হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৩২ জন আহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী।  তবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  

সোমবার বিকাল ৫টার দিকে রূপসী খন্দকার বাড়ির সামনে আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া, তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে রূপসী খন্দকারবাড়ি এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বিকাল ৫টার দিকে মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্য চলাকালে ৩০/৪০ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারী সভাস্থলের প্যান্ডেল, চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর কন্যা মারিয়াম খন্দকারের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

অস্ত্রধারীদের হামলায় যুবদল নেতা আশরাফুল আলম রিপন, আনোয়ার সাদাত সায়েম, তারিকুল ইসলাম বিপুল, মহিবুর রহমান, আবু মাসুম, আজিম সরকার, জামাল হোসেন, মফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান, হানিফ, আব্দুল মান্নান, ফাতেমা বেগম, নজরুল, আনোয়ার, নাজমুল, কাজল গাজী, খালেদ হোসেন রতন, গোলাপ হোসেন, এনায়েত হোসেন, ইসমাঈল হোসেন, আব্দুল লতিফ মেম্বার, সুলতান আহম্মেদ মোড়ল, হামিদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, ঈমান আলী আহত হয়েছেন। এসময় দৈনিক করতোয়ার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মঞ্জুরুল কবির বাবু, কেটিভির রূপগঞ্জ প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। 

তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসন্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।

তৈমূর আলমের খন্দকারের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তারাব পৌর ছাত্রলীগের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি বিএনপি একটা প্রোগ্রাম করছে। এটা জেনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে যান। পরে নাকি সভা আর হয়নি।’

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো অনুমতি না নিয়ে সভা করেছেন। তবে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’

নারায়ণগঞ্জ (গ সার্কেল) এএসপি মাহিন ফরাজী বলেন, ‘কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীরা তাদের ব্যারিকেড দিয়েছিল। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তারা চলে যায়।’

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/জেবি)