কক্সবাজারে শরণার্থী ও স্থানীয়দের করোনা চিকিৎসার সুবিধা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:১০

কোভিড-১৯ আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এ লক্ষ্যে হাসপাতালটিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন ১০ জন চিকিৎসকসহ ৪৩ জন স্টাফ নিয়োগ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে ২০টি নতুন শয্যা।

সোমবার এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন করা হয়।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০২০ সালের জুন মাসে ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় কক্সবাজারের প্রথম নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)-এর উদ্বোধন করা হয়। গুরুতর রোগীদের জন্য নির্মিত আইসিইউ-তে বর্তমানে আছে ১০টি বেড, ১১টি ভেন্টিলেটর ও ২টি পোর্টেবল ভেন্টিলেটর; আর এইচডিইউ-তে আছে ৮টি শয্যা। নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরও ২০টি শয্যা। এর মাধ্যমে গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের আরও বেশি চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে।

অতিরিক্ত এই ২০ শয্যার পাশাপাশি ইউএনএইচসিআর একটি ওয়ার্ড তৈরি করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন করে। এছাড়া ১০ জন মেডিক্যাল ডক্টর, ১৫ জন স্টাফ নার্স, একজন সিনিয়র নার্স, একজন ইনফেকশন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল সুপারভাইজার, ৮ জন ক্লিনার ও ৮ জন ওয়ার্ড স্টাফসহ মোট

৪৩ জন নতুন স্টাফের দায়িত্ব নিচ্ছে জাতিসংঘের এই শরণার্থী সংস্থা।

এছাড়া বেড, দেয়াল থেকে সরবরাহকৃত অক্সিজেন, অক্সিজেন পাম্প, ইনফিউশন এন্ড সিরিঞ্জ পাম্প, এবং স্পেশালাইজড মেডিক্যাল পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)-র মত বিশেষায়িত বিভিন্ন উপকরণ ও ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির প্রধান সাইমুম সারওয়ার কমল বলেন, ‘শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের জন্য ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সহায়তা আমরা সব সময় মনে রাখবো। পারস্পরিক সহযোগিতা ও একসাথে কাজ করার সদিচ্ছা না থাকলে কেউই সামনে এগোতে পারে না।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও সহকারী পরিচালক ড. রফিক-উস-সালেহীন বলেন, ‘মহামারির শুরুতে যখন সবাই আতঙ্কে উদ্বিগ্ন হয়ে সমাধান খুঁজছিল, ইউএনএইচসিআর তখন সবার আগে সামনে এগিয়ে আসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। কক্সবাজারের মতো একটি প্রান্তিক জেলায় এরকম চমৎকার সেবা দেখতে পাওয়া আসলেই দারুণ।’

ইউএনএইচসিআর জানাচ্ছে, গত জুন মাসের ২০ তারিখে আইসিইউ ও এইচডিইউ উদ্বোধনের পর থেকে এই বিশেষায়িত বিভাগে ১২৪ জন সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়েছেন। এই রোগীদের মধ্যে আছেন শরণার্থী ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশিরা।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এই সংস্থার ভাষ্য, কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি ও অন্যান্য সকল মানবিক সংস্থা।

সংস্থাটি জানাচ্ছে, পুরো জেলা জুড়ে ১৪টি সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (সারি আইটিসি) গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে মাঝারি ও তীব্রভাবে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র অপারেশনস কোঅর্ডিনেটর হিনাকো টোকি বলেন, ‘করোনাভাইরাস অতিমারী সারা বিশ্বে বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত শরণার্থী ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ, সকলে যেন সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সেবা পায়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এনআই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :