ধরলে পালানোর পথ পাবেন না, সরকারকে মান্না

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের এক কর্মসূচিতে নিজের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এসময় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাম দা’র ভয় দেখাবেন না। জেলের ভয় দেখাবেন না। মামলার ভয় দেখাবেন না। পান্তা ভাতের মধ্যে কাঁচা মরিচ দিয়ে যেভাবে খায়, ওইভাবে হামলা-মামলা এত বছর ধরে খেয়ে এসেছি। আমরা যখন ধরবো তখন কিন্তু পালাবার পথ পাবেন না।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন মান্না।

সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের ৬৮তম জন্মদিন ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে তার বাড়িতে দোয়া ও গরিব মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হন এবং অন্তত আটটি গাড়ি ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।

মান্না হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা মহানগরের সব জায়গায় অবরোধ করা হবে।’

‘মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর হামলার প্রতিবাদে’ নাগরিক ঐক্য আয়োজিত কর্মসূচিতে মান্না বলেন, ‘আমার ওপর যারা হামলা করেছে তাদের ভিডিও আমার কাছে আছে। তৈমুর আলম খন্দকার তাদের নামে জিডি করেছেন। সাত দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নেবে? নেবে না। গতকাল নাকি পরশুদিন বাম দল পল্টন মোড় অবরোধ করেছিল। সাত দিন, ১৫ দিন পরে ঢাকা মহানগরের সব জায়গায় অবরোধ করবো। এই রকম মনে করবেন না যে, এক মাঘে শীত যাবে। এরকম মনে করবেন না যে চুরি করে রক্ষা পাবেন। ১০ বছরে একদিন তো সভা হবে, সেই দিন চলে এসেছে।’

মান্না বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুর সবাই কথা বলছে। কারোর কণ্ঠ রোধ করতে পারেননি। আর কণ্ঠ রোধ করতেও পারবেন না। আজ আমরা তিন জন, চার জন কথা বলছি। সাত দিন পরে সারা বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে কথা বলবো। ওই কণ্ঠ এত জোরে শোনা যাবে যে গণভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ে যাবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/বিইউ/জেবি)