২৪ ঘণ্টায় চার বিভাগে করোনায় মৃত্যু নেই

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আট বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, খুলনায় একজন এবং রংপুর বিভাগে দুজনের মৃত্যু হলেও চার বিভাগে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে তিনজন, খুলনায় একজন এবং রংপুর বিভাগে দুজনের মৃত্যু হয়। তবে এ সময় চার বিভাগে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ- এই চার বিভাগে মৃত্যু হয়নি।

এ পর্যন্ত করোনায় মৃত পাঁচ হাজার ৬৮১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৯২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ১৪১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯৭ জন, সিলেট বিভাগে ২৪০ জন, রংপুর বিভাগে ২৫৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৯ জন রয়েছেন।

লিঙ্গভেদে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী চারজন। এ পর্যন্ত পুরুষ চার হাজার ৩৮৫ জন (৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৩১৪ জন (২৩ দশমিক ০৬ শতাংশ)। এ নিয়ে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯৯ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃত ১৮ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৫ হাজার ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষার সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৬৩৭ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৯০ হাজার ২০৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৪টি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে দেশে প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/টিএটি/জেবি)