ঢাকা শহরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন বিআইপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৫৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান তিনটি কাজের মধ্যে ‘উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে যে সকল উপায় অবলম্বন করতে হবে এরমধ্যে ফ্লোর এরিয়া রেসিও’র (এফএআর) প্রয়োগ অন্যতম। ঢাকা শহরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। পাশাপাশি রাজধানীর জনঘনত্ব প্রতি একরে ৬০০ থেকে ৭০০ জন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। যা একটি বড় শহরের জনঘনত্বের মানদণ্ডের চাইতে অনেক বেশি।

মঙ্গলবার ‘ঢাকা শহরের জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে বিআইপির এক ভার্চুয়ায়ল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি নগরের জনঘনত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘রাজউক- এর প্রধান তিনটি কাজের মধ্যে উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে যে সকল উপায় অবলম্বন করতে হবে তার মধ্যে ফ্লোর এরিয়া রেসিও (এফএআর) এর প্রয়োগ অন্যতম। ২০০৮ সালের মহানগর ইমারত নির্মান বিধিমালা তৈরির মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি। সারা শহরের জন্য একই ধরনের উচ্চ এফএআর’র মান ঢাকা শহরের জনঘনত্বকে অব্যবস্থাপনযোগ্য করে তুলেছে।’

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একটি বড় শহরের জনঘনত্বের জন্য মানদন্ড ধরা হয় প্রতি একরে ৭০-৮০ জন যা সর্বোচ্চ ১২০ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহর এলাকায় হতে পারে। জাপানের টোকিও শহরের কেন্দ্রীয় এলাকার ওয়ার্ডসমূহের জনঘনত্ব একরপ্রতি ৯০ এর নিচে, অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি শহরের সর্বোচ্চ জনঘনত্ব প্রতি একরে ৫৮ জন এবং সিঙ্গাপুরকে উঁচু ভবন এর শহর বলা হয়, কিন্তু সেখানেও শতকরা ৮০ ভাগ জমি সরকারের মালিকানাধীন এবং শতকরা ৯০ ভাগ আবাসন সরকার প্রদান করে থাকে এবং একটা পরিকল্পনা এলাকা (প্ল্যানিং ডিস্ট্রিক্ট) ব্যতীত বাকি সকল পরিকল্পিত শহরের জনঘনত্ব প্রতি একরে ৮০ জন এর নিচে। ভারত এবং ইউরোপের অনেক বড় বড় শহরের তুলনায় ঢাকার লালবাগ, চকবাজার এর জনঘনত্ব প্রতি একরে ৬০০-৭০০ জন। যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ সেখানে অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধাদি পরিকল্পনার সকল মানদণ্ড ও সূচকে অত্যন্ত অপর্যাপ্ত।’

ড. আদিল বলেন, ‘ঢাকাসহ বাংলাদেশের সকল শহর ও পৌরসভা পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ডিজাইন পপুলেশনকে বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে, সেটা না করতে পারলে সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে। ঢাকা কে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নীতি নির্ধারণী মহলসহ সবাইকে উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।’

জনঘনত্ব, শহরের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর উপায় হিসেবে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্বের ম্যাপ তৈরি করা, এলাকাভিত্তিক সামাজিক ও নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামোর তালিকা প্রস্তুত করা এবং সেই অনুযায়ী উন্নয়ন অনুমোদন দেয়াকে গুরুত্ব দেন আলোচকরা।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

তীব্র তাপপ্রবাহে জনসাধারণের মাঝে পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ বিএনপির

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে: সালাম

ঢাকা মেডিকেলে এক কারাবন্দিকে মৃত ঘোষণা

ভাষানটেকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫, বাকি একজনও আশঙ্কাজনক

মুগদা-মান্ডা সড়কে অভিযান: ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ  

মোহাম্মদপুরে তিতাসের এমডির বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীতে থাকবে না ফিটনেসবিহীন বাস, জুন থেকে মাঠে নামছে বিআরটিএ

আজ ৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়

গরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ডিএমপির

স্থপতি ইনস্টিটিউটে মসজিদ স্থাপত্য নিয়ে সেমিনার 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :