চিকিৎসকদের ব্যর্থতা ছিল, তবে অনিচ্ছাকৃত: ডিএমসি পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৯ | প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৩

ঢাকা মেডিকেলে নবজাতককে মৃত ঘোষণা পর দাফনের সময় নড়েচড়ে ওঠার ঘটনায় চিকিৎসকদের ‘ব্যর্থতা ছিল’ বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। তবে তিনি এও বলেছেন, চিকিৎসকসহ সবারই চেষ্টায় কোনো ঘাটতি ছিল না।

মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমসি পরিচালক এসব কথা বলেন।

গত ১৬ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেলের ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শাহিনুর ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তবে জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর সনদে চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকটি মৃত অবস্থায়ই জন্ম নিয়েছে। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিন দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান।

কবরস্থানের লোকজন দাফন-কাফন বাবদ এক হাজার ৪০০ টাকা দাবি করলে, টাকা না থাকায় নবজাতককে বসিলা কবরস্থানে নিয়ে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ নবজাতকটি নড়ে ওঠে। তখন শিশুটিকে ঢামেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

শিশুটি এখন কেমন আছে জানতে চাইলে ঢামেকের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জি বলেন, ‘এখনও শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। শিশুটি যদি বেঁচে থাকে সেটাও আমাদের জন্য মিরাকল হবে। আমরা তাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তার শরীরে স্যালাইন চলছে। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। যদি এই অবস্থা আরও একদিন থাকে, তাহলে আমরা পয়েন্ট ৫ মিলি খাবার তার মুখে দেবো।’

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি শিশুটি অপরিণত ছিল। মাত্র ২৬ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। ওইদিন ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে থেকেই বাচ্চাটি তার মায়ের পেটের ভেতর নড়াচড়া করছিল না। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এক ঘণ্টার মতো চিকিৎসক-নার্স মিলে বাচ্চাটিকে অবজারভেশনে রেখেছিল। শ্বাস-প্রশ্বাস, নড়াচড়া, কান্না, কোনও কিছুই লক্ষ করেননি চিকিৎসকরা।

‘প্রাথমিক অবজারভেশন এবং কয়েকটি বেসিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন যে বাচ্চাটি মৃত। মৃত ঘোষণার চার-পাঁচ ঘণ্টা পর বাচ্চাটি আবারও নড়েচড়ে ওঠে। বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বাভাবিকভাবে বেঁচে ফেরা। এটা একটা রেয়ার কেস।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। তদন্ত কমিটি চিকিৎসকদের ইচ্ছাকৃত কোনও ভুল খুঁজে পায়নি। এমন ঘটনার অনভিজ্ঞতা এবং শিশুটির অস্বাভাবিকভাবে বেঁচে ফেরার জন্য ঘটেছে এটা।’

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘যেহেতু শিশুটি আবারও বেঁচে ফিরেছে। সেক্ষেত্রে সে জীবিত ছিল। আর এজন্য আমরা এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। তদন্ত কমিটি আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার বিষয়ে সুপারিশ করেছন। সেগুলো আমরা দ্রুত সমাধান করবো এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সচেতন থাকবো। তবে এখনই আমরা কোনও চিকিৎসকের ব্যর্থতায় তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ আনছি না। আরও কিছু তদন্ত বাকি রয়েছে। তারপরে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।’

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/বিইউ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে

কেন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :