দিনাজপুর সদরে আ.লীগ, চিরিরবন্দরে বিএনপি প্রার্থীর বিজয়

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২০, ২১:২৮ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর

দিনাজপুরে উপনির্বাচনে সদর উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাংশের প্রার্থী চশমা প্রতীকে রবিউল ইসলাম সোহাগ এবং চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন।

বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে দিনাজপুরে উপনির্বাচনে সদর উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাংশের প্রার্থী চশমা প্রতীকে রবিউল ইসলাম সোহাগ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকে উত্তম কুমার রায় পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৯ ভোট এবং আওয়ামী লীগের আরেকাংশের প্রার্থী উড়োজাহাজ প্রতীকে ইবনে আজিজ চঞ্চল পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫২ ভোট।  

অন্যদিকে চিরিবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নে উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক পেয়েছেন তিন হাজার ৩৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে আব্দুল হামিদ শাহ পেয়েছেন দুই হাজার ৮১৩ ভোট।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাংগল প্রতীকে মোস্তাফিজুর রহমান  ১৯ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২১৫ ভোট এবং সাইফুল ইসলাম শাহ আনারস প্রতীকে এক হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন।

মূলত মঙ্গলবার অস্তিত্বের লড়াইয়ের নির্বাচন হয়েছে দিনাজপুর সদর উপজেলায়। বিরোধী দলের সঙ্গে  নয়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের মধ্যে দুই গ্রুপের এ লড়াই।

শূন্য ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হলেও এ নির্বাচনী লড়াই দুটি গ্রুপের জন্যই গুরুত্ব বহন করে। নিজের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে কম বেশি মাঠ চষে বেরিয়েছেন উভয় পক্ষের প্রার্থী ও রাজনৈতিক সমর্থরা। দুই হাতে টাকাও বিলিয়েছেন ইচ্ছেমতো, যা জাতীয় সংসদের নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে প্রতারণার মামলা, সমর্থন ও পাল্টা সমর্থনের ঘটনাও ঘটেছে। এ দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সাপে-নেইলে বসবাস।

সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ের মৃত্যুতে শূন্য পদে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শূন্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সমর্থিত দুই প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নির্বাচনে লড়ার আগেই বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে ভোটারদের তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না ভোট দেয়ার ব্যাপারে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে এনে ভোট নেয়া হয়েছে। এজন্যে ইজিবাইকে আনা এবং পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি নগদ টাকা দিতেও দেখা গেছে।

ভোট কেন্দ্রগ্রলো ভোটারশূন্য থাকলেও সমর্থিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কমতি ছিল না। তাদের উপস্থিতিতেই সরগরম ছিল ভোট কেন্দ্রগুলো।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/কেএম)