মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৯ অক্টোবর

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের (সাময়িক বরখাস্ত) বিরুদ্ধে অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে আরো দুইজন জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার এনটিএমসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজেম উদ্দিন ও মেজর নাহিদ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে জবানবন্দি দেন। তবে এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদেরকে জেরা না করে সময়ের আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় এনিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

গত ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।  এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।

নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/কেআর)