পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
জোড়া খুনের মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জুলাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুই বোন নাসিমা বেগম ও তাছলিমা বেগম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
২০১৭ সালের ১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে নাসিমার স্বামী ইয়াছিন মিয়া ও তার ছোট বোন তাছলিমার স্বামী খন্দকার এনামুল হককে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে।
তাছলিমা বেগম বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও ইউপি সদস্য সেন্টু মিয়ার নেতৃত্বে আমার স্বামী ও ভগ্নিপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। মাসুদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিমের ভাই। মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীদের চাপে নবীনগর থানার পুলিশ মামলাটি নেয়নি।
তাছলিমা বলেন, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ২৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করি। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহা-পরির্দশককে নির্দেশ দেন।
সিআইডি ২৮ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ইউপি সদস্য সেন্টু মিয়াসহ ১২ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই ১২ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।
তাছলিমা বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত তিন নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রভাবশালীদের চাপে কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি। তিনি নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। অজ্ঞাত কারণে নবীনগর থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না।
সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, তারা ডাকাত ছিল। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে। আমি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছি।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম বলেন, তারা চিহ্নিত ডাকাত। গ্রেপ্তার করা বা না করার বিষয়ে আমি পুলিশকে কিছু বলিনি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে অবশ্যই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/কেএম)