যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার স্থুলতা বাড়ায়

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২২

আয়শা সিদ্দিকা

প্রচলিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বাড়তে পারে দেহের মেদ। আমরা প্রায় সময়ই কিছু না ভেবে গ্রহণ করে ফেলি এই খাদ্যগুলো। কিন্তু এসব খাবারেরও আছে কিছু অস্বাস্থকর দিক। জেনে নেওয়া যাক কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে এইসব খাদ্যে।

কৃত্রিম চিনি

নামেই পরিচয়, খাবারটি কৃত্রিম। যা তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে অপ্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান সালফনামাইডস, সুক্রোজ ডেরিভেটিভস, পেপটাইড। পরীক্ষাগারে তৈরি এই রাসায়নিক উপকরণ হজম করার ক্ষমতা শরীরের নেই, ফলে তা বৃদ্ধি করে ওজন এবং তৈরি করে টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর মত স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সয়া দুধ

রাসায়নিক পদার্থের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে সয়া দুধ। অনেকের ধারণা সয়া দুধ ওজন কমাতে এবং সুস্বাস্থ্য পেতে সহায়তা করে। সে গুণ হয়ত এর আছে, তবে বাজারে যেসব সয়া দুধ পাওয়া তা অত্যন্ত নিম্নমানের, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। ফলে সয়া দুধ পরিণত হয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর তরলে। তাই এই তরল গ্রহণ এর পূর্বে অবশ্যই তা যাচাই বাছাই করুন।

মার্জারিন
মার্জারিন হলো কৃত্রিম মাখন,ভেজিটেবল অয়েল থেকে তৈরি বিধায় অনেকে এটাকে স্বাস্থ্যকর ভেবে থাকেন কিন্তু অয়েল থেকে বাটার তৈরির সময় তৈরি হয় ট্রান্স ফ্যাট যা স্বাস্থ্য এর জন্য খুবই ক্ষতিকর। ফলে এটি অযাচিত চর্বি হিসেবে শরীরে জমা হয়। তাই মার্জারিনের বদলে ঘরে তৈরি মাখন ব্যবহার করা উচিত। এটা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তেমনি মার্জারিনের চাইতে সুস্বাদু। আর ঘরে তৈরি মাখনে মেলে শরীরের জন্য উপকারী চর্বি যা বিপাক প্রক্রিয়ার সহায়তা করে।

প্রিজারভেটিভ দেওয়া জুস

কোমল পানীয়তে প্রিজারভেটিভ দেওয়া এবং সরবতে একই পরিমাণ চিনি থাকে। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে এবং শরীরের বাড়তি চর্বি জমতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এসব পানীয়র রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিম রং শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

অপরিশোধিত আটার রুটি

কোনো রকম পরিশোধন বা ছাঁটা বিহীন গমের আটা থেকে রুটি বা পাউরুটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিতি। তবে স্বাদ বাড়াতে, লোভনীয় দেখাতে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের যোগ্য করতে তা পরিশোধণ করা হয় এবং এতে অনেক সময় রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এরকম প্রক্রিয়াজাত গমে থাকে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান, যা আপনাকে মুটিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও যে গম ব্যবহার করা হয়, সেটাও জিনগতভাবে পরিবর্তীত গম হতে পারে।


লেখক: পুষ্টিবিদ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা

ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/এসকেএস